অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি
ইফতি মাহমুদ
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
সোনারগাঁ থানায় হয়রানীমূলক হিসেবে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড.নুরে আলম।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ ড.নুরে আলম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাঁচপুর ব্রীজের ঢালুতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল বিষ্ফোরণ, দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করেন। সেখানে ইব্রাহিম নামের এক যুবক মারা যায়। ওই ঘটনায় গত ২৩ আগষ্ট নিহতের বাবা মো. হানিফ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় ২৮ নম্বর আসামী হিসেবে তাকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। বিএনপির একটি অংশ ঈশ্বার্ণিত হয়ে আমাকে এ মামলা উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে জড়িয়েছে।
তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক দলের পরিচয় স্পষ্ট করতে গিয়ে বলেন, আমি বিএনপির রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবনে ৮৮-৮৯ সালে তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন হলের ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলাম।১৯৯৩-৯৪ সালে সোনারগাঁ ছাত্রদলের আহবায়ক ছিলাম। সোনারগাঁ ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। ২০২৩ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করি। ২০০৮ সাল থেকে বিএনপি দলীয় সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের প্রতিষ্ঠিত সরদার আজমত আলী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে আমি ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আওয়ামীলীগের রোষানলে ছিলাম। আমার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া আমার পরিবার আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার নাম যুক্ত করে মামলা দেওয়া দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন,আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও একজন অধ্যাক্ষ হিসেবে তাদের পাশে ছিলাম। আন্দোলনে তাদের সকল কর্মসূচি ও দাবিগুলোতে আমার সমর্থন ছিল। আন্দোলনে ছাত্ররা সফল না হলে আমি চাকরীচ্যুত হতে পারতাম। তাহলে আমি কিভাবে কাঁচপুর ব্রীজের ঢালুতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল বিষ্ফোরণ, দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হয় সেখানে আমি কিভাবে অংশ নিলাম সেখানে ইব্রাহিম নামের এক যুবক মারা যায়। আর এই হত্যা মামলায় আমি কিভাবে আসামী হই এটাই আমি দেশবাসী সর্বমহলের কাছে প্রশ্ন রাখলাম? এবং তদন্ত করে যারা জড়িত নয় তাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি করলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমজিয়াজ বকুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক সালাউদ্দিন জুয়েল,সোনারগাঁ গঙ্গাবাসী ও রামচন্দ্র পোদ্দার ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মর্তূজা কাজল।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, মামলার এজহারে বাদি কার নাম অর্ন্তভূক্ত করেছেন এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে তদন্ত করে কারো অপরাধ প্রমাণিত না হলে বাদ দেওয়া হবে।