
প্রশ্ন ওঠেছে, এ নাটকের কোন প্রয়োজন ছিলো কি না ? কী কারণে কিংবা কার পরামর্শে বিএনপির উঠতি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এমন ছেলেমানুষি করতে গেলেন! ডিজিটাল যুগের এইদিনে আবালবৃদ্ধবনিতার হাতে যখন অত্যাধুনিক আইফোন শোভা পায় তখন লাইভে এসব নাটক একেবারেই বেমানান। হয়েছেও তাই! সরাসরি প্রচার হওয়া বাইডেনের উপদেষ্টা নাটক নিমিষেই ভাইরাল হয়ে যায়। এবং এক সময় সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, এটি একটি সাজানো নাটক।
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা বানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করানো হচ্ছে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আরেফি মার্কিনীদের মতো অনর্গল ইংরেজীতে কথা বলতে পারেন। আর এ কারণেই তাকে বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যাতে সাধারণ মানুষের মনে কোন সন্দেহের উদ্রেক না ঘটে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইশরাক হোসেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং কথিত উপদেষ্টাসহ ২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে গুটিকয় সাংবাদিকের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। কিন্তু শেষমেস মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইশরাকের ম্যাকানিজম ধরা পড়ে যায়।
আরেফি লাইভ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তিনি প্রতিদিন বাইডেনের সাথে অন্তত ২০ বার টেক্সট মেসেজিং করেন। মার্কিন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস আরেফির এ দাবি সরাসরি অস্বীকার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। পরদিন পল্টন থানায় মহিউদ্দিন সিকদার নামে এক ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। কথিত উপদেষ্টা এবং চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশের মানুষকে এতো বোকা ভাবাটা যে কোনমতেই সমীচীন নয়, এই সাধরণ কথাটাও হামবড়া টাইপের ইশরাক ভুলে গিয়েছিলেন। কথাবার্তায় অতিরিক্ত ইঁচড়ে পাকা ইশরাক রাজনৈতিক কূটকৌশলে তার বাবা সাদেক হোসেন খোকার ধারে কাছেও নেই বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তার এই অতি চালাকির মাশুল দিতে হবে গোটা দলকে-এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। এস.এ/জেসি