ঢাকায় প্রকাশ্যে এলাকায় ফেরার চেষ্টায় মাসুম
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১২ পিএম
সোনারগাঁয়ে সমালোচিত চরিত্রের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম। গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে পিরোজপুরের সকল নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান নিয়ে গা ডাকা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে আবারও ঢাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা ও সোনারগাঁ এসে পিরোজপুরের চেয়ারম্যান আসনে বসে আবারও পিরোজপুর এলাকার বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপি নেতাদের ম্যানেজের চেষ্টা করছেন।
সূত্র বলছে, পিরোজপুর ইউপিতে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে মাসুদুর রহমান মাসুমের একক নিয়ন্ত্রণ ছিল। পরবর্তীতে পিরোজপুরের চেয়ারম্যান হওয়ায় সেখানে এক রাজার এক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন পিরোজপুরকে মাসুম। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে পিরোজপুরে মাসুমের অবস্থানে ফিরেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার সমর্থকরা এবং তাদের হাতেই রয়েছে পিরোজপুর এলাকার বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরির নিয়ন্ত্রণ।
এছাড়া মাসুম ও মান্নান পিরোজপুর ইউপির প্রতাপেরচর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের মধ্যে একটি যোগসাজশ ছিল পূর্ব থেকেই সেটা এখনো চলমান। এছাড়া মাসুমের স্থানে পিরোজপুরের শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণ মান্নানের কব্জায় থাকায় মান্নানকে ম্যানেজ করে ঢাকা থেকে সোনারগাঁ ফিরতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। অপরদিকে মান্নানের মাধ্যমে সম্ভব না হলেও তার সোনারগাঁয়ের বিএনপির আরেকটি অংশ রেজাউল করিম ব্লকের নেতাদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কেননা সে যেকোন মূল্যে এলাকায় ফিরতে চাচ্ছেন। যার কারণে এখন মাসুমের বাসস্থান ঢাকার কমলাপুর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে মাসুমকে। ঠিক তেমনি সোনারগাঁয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করার পায়তারা করছেন মাসুম। কিন্তু ইতিমধ্যেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার একাধিক মামলায় আসামী হয়েছেন। এছাড়া পূর্বে পিরোজপুরের বিভিন্ন অপরাধের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন মাসুম। যার কারণে পিরোজপুরের জনসাধারণ ছাত্র হত্যা মামলার আসামী এই মাসুমের গ্রেফতার চাচ্ছে। তাছাড়া পিরোজপুরে পূণরায় প্রবেশ করলেও বিএনপির শেল্টারে জনসাধারণ তাকে গণধোলাইয়েরও প্রস্তুতি রেখেছেন।