Logo
Logo
×

বিচিত্র সংবাদ

মুসলিমনগর দক্ষিণপাড়ার রাস্তার বেহাল দশা  

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

মুসলিমনগর দক্ষিণপাড়ার রাস্তার বেহাল দশা    



নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ফতুল্লার পঞ্চবটি থেকে বক্তাবলী যাওয়ার মধ্যখানের সড়ক তথা মুসলিম নগরের এতিমখানা দক্ষিণপাড়া সংলগ্ন রাস্তাটি যেনো দেখার কেউ নেই। পুরো সড়কেই খানাখন্দে ভরা। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এ সড়কে দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতা এবং রাস্তার দু’পাশে শ্যাওলা ভরে যাওয়ায় পথচারীদের পায়ে হেঁটে চলা খুবই কষ্টকর হয়ে পরছে।

 

 

অনেকসময় পা পিছলে পরে ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী অনেকের কাছে দ্বারস্থ হলেও এখনো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষর চলাচল করে। এছাড়াও চলাচল করে ছোট বড় শতশত যানবাহন।

 

 

সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোনরকম বৃষ্টি ছাড়াই সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গাড়িচালকরাও যাত্রী নিয়ে বিপাকে পড়ছেন। সড়কে পানি থাকায় ভাঙা স্থানে ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি পড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।

 


এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, ড্রেন হওয়ার পরেও পাঁচ সাত বছর ধরে এই রাস্তার এই অবস্থা। স্থানীয় চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তিন ওয়ার্ডের মেম্বারদেরও জানানো হয়েছে কিন্তু তারা কোন সমাধান করেনি। সবচেয়ে বড় কথা এরআগেও অনেক সাংবাদিক এই এলাকায় এসেছে, নিউজ করেছে। কিন্তু কার্যত কোন সমাধানই হয়নি।

 


তিনি আরও বলেন, কিছুদিন পরপর অস্থায়ী সংস্কার কাজ করা হলেও স্থায়ীভাবে কোনও সংস্কার কাজ এখনো করা হয়নি। এমনকি যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণরূপে অপরিকল্পিত। তাই আমরা এলাকাবাসী বর্তমান অন্তর্বতীকালিন সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি যে, আমাদের এই ভোগান্তি থেকে যেনো মুক্তি পাই সেই ব্যবস্থা যেনো তারা আমাদের করে দেন।

 


বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালক বলেন, এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। প্রায় সময়ই গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কারণ পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তে ভরা। তাছাড়া পুরো সড়কেই সবসময় থৈ থৈ করে পানি। যার কারণে গর্তগুলো দেখা যায় না। এতে করে প্রায়শই ঘটে ছোট বড় দূর্ঘটনা। অনতিবিলম্বে আমরা এই সড়কের সংস্কার দাবি করছি।

 


এ বিষয়ে জানতে বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীকে মুঠোফোন করে হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।         এন. হুসেইন রনী  /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন