শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

যুবদল নেতা শহীদ-বাপ্পী বাহিনী বেপরোয়া

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৪  

 

 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাস্থ কাশীপুর ইউনিয়নের ৫, ৬, ৮নং ওয়ার্ড জুড়ে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের এক আতঙ্কের নাম সদর থানা যুবদল নেতা পরিচয়দানকারী শহীদ ও সিকদার বাপ্পী বাহিনী। হোসাইনীনগর এলাকায় জোড়া খুনের আসামীসহ চাঁদাবাজি, মাদক মামলার আসামী হয়ে ও বিগতে দিনে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল ও কাশীপুর ইউপির চেয়ারম্যান এম.সাইফুল্লাহ বাদলের ছেলে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান সাজন। 

 

তার সাথে সখ্যতা করে বাবুরাইল বড় বাড়ির বদুর ছেলে মাদক ডিলার সবুজের সাথে মিলে মাদককারবারি, চাঁদাবাজি, কয়েকটি ওয়ার্ড জুড়ে জোরপূর্বকভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ইট-বালুর ব্যবসাসহ বহু অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন।

 

 এই শহীদ একই সাথে জোড়া খুনের আরেক আসামী সিকদার বাপ্পি ও রবিন যিনি সে সময় যুবদলের নাম সাইডে রেখে খাজা গরীবে নেওয়াজ কমিটির নামে এলাকায় প্রকাশ্যে সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকতেন তা ছাড়া ও তার লোকবল দিয়ে হোসাইনীনগর জুড়ে ৫০টির অধিক মিনি গার্মেন্টস থেকে ওয়েস্টিজ মালামাল-ঝুট সেক্টর দখলে নিয়েছিলেন সেখানকার হোসীয়ারী মালিকদের হুমকী-ধমকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে।

 

 এর ছাড়া ও সেখানকার ভূমিদসূ হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মী নিবাসের মালিক আসলামের সাথে সখ্যতা করে তার লোক দিয়ে ভূমিদসূতাসহ এলাকায় জোরপূর্বকভাবে বেটিং, জুয়া ও ইট-বালুর ব্যবসা করতেন। এদিকে গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে মহানগর বিএনপির সদস্য হাসানের সাথে বিগত দিনের মতোই যোগসাজস করে বেপরোয়া হয়ে উঠে এই শহীদ ও বাপ্পি বাহিনী। 

 

তা ছাড়া বর্তমানে হাসানের ছায়াতলে থেকে হাসান অসুস্থ থাকায় শহীদ আহম্মেদ ওরফে ভোগা শহীদ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহম্মেদ আশার বিক্রি অন্যদিকে মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নাম বিক্রি করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বাপ্পি ও রবিন বাহিনীর সদস্যরা। 

 

ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ৫ তারিখের পর থেকে লুটপাট, চাঁদাবাজি, জমি দখল, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা তোলা, দেওয়ান বাড়ি রনি ডাইং এন্ড গার্মেন্টসে গিয়ে মালিককে ওয়েস্টিজ মালামালের জন্য ভয়-ভীতিসহ শহীদ তার লোকদের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দামী-দামি জিনিস লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর থানা যুবদল নেতা শহীদ বাহিনীর সদস্যরা তাদের শেল্টারে জিমখানা থেকে বাবুরাইল থেকে দেওয়ান বাড়ি সহ এর আশে পাশের প্রত্যেকটি এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। যা বিক্রি হয় বাবুরাইলসহ তাঁতিপাড়ার বট তলা এলাকা, মুন্সিবাড়ির নতুন রোড, আমবাগান, ইব্ররাহিম ব্রিজের ভিতরের বিভিন্ন গলিতে, হোসাইনী নগর এলাকাসহ বাংলাবাজার এলাকার ব্যাংকলোনী, খিলমার্কেটের সকল অলিগলিতে।

 

 আর তিনি তার এই সকল কর্মকাণ্ড তার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ওয়ান পিস ফয়সাল ও মুন্না নামের দুইজনের মাধ্যমেই পরিচালিত করেন। তা ছাড়া মাদকের পাশাপাশি ইট-বালুর ব্যবসা ও করেন এই বাবুরাইলের শহীদ। তিনি একক আধিপত্য বিস্তার করে কাশীপুরের ইব্রাহীম ব্রিজ থেকে শুরু করে আমবাগান, মুন্সিবাড়ি, তাঁতিপাড়া, বাবুরাইল এলাকা জুড়েই সকল অপকর্ম সহ সেখানকার নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে যাবতীয় জিনিসপত্র তিনি জোরপূর্বকভাবে দিয়ে থাকেন।

 

 আর তা কম দামে নয় উচ্চ মূল্যে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবেই। এদিকে সেই এলাকা জুড়ে চোরাই গ্যাস সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণেসহ এই শহীদের নাম উঠে আসছে। তা ছাড়া এই সব এলাকায় বাড়ি বেচা-কেনা করতে এই শহীদ বাহিনীকে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে, এই শহীদ বাহিনী শুধু কাশীপুরেই বসে নেই ডিআইটি নয়ামাটি এলাকায় বিভিন্ন হোসীয়ারী থেকে চাঁদাবাজিসহ জোরপূর্বকভাবে ওয়েস্টিজ মালামাল ও ঝুট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিভিন্ন বিএনপি নেতাদের নাম বিক্রি করে।

 

 একই সাথে সদর থানা যুবদলের আরেক নেতা সিকদার বাপ্পী যিনি হোসাইনীনগর জুড়ে প্রায় ৫০টির অধিক মিনি হোসীয়ারীর ওয়েস্টিজ মালামাল ও ঝুট তিনি ও তার সহযোগী রবিন ও ছোট বাপ্পি নিয়ন্ত্রণ করেন মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নাম বিক্রি করে। তা ছাড়া হোসাইনী নগর সমাজ কল্যান সমিতির মাধ্যমে দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি, সাবেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী বর্তমান ভূমিদসূতা হিসেবে পরিচিত আসলামের সাথে তাদের লোকজন দিয়ে ল্যান্ডের ব্যবসার নামে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দাঁড়া দলিল ও ভূমিদসূতা করতে মগ্ন আছেন রয়েছেন বাপ্পি বাহিনীর সদস্যরা। 

 

তা ছাড়া ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কাশীপুর খিলমার্কেট এলাকায় খিল মার্কেট মালিক সমিতির অফিস ও ক্লাব এই বাপ্পি ও রবিনসহ তাদের আরেক সহযোগী ইকবাল ওরফে খোপা ইকবালের মাধ্যমে দখল করে সেই সমিতির নির্বাচনের জন্য তারাই ফরম বিক্রি করছেন তাদের মন মতো মানুষদের কাছে। এদিকে তারা নিয়মিত দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলছেন অন্যদিকে গত ৫ আগষ্টের পর প্রায় কয়েকটি দোকান-গ্যারেজসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই শহীদ-বাপ্পি বাহিনীর সদস্যরা ছোট কানা রবিন, বাপ্পি, শিপুল, মুন্না, ফয়সালসহ আরো অনেকেই মিলে প্রায় ৩২ লাখ টাকার উপরে হাতিয়ে নেয় যার ক্ষেত্রে অনেকে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ও পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

 

বিগত দিনে এরাই আওয়ামী লীগের সাথে মিলে কাশীপুরে তাণ্ডব চালিয়েছে এমনকি ছাত্র-জনতার উপরে হামলা করতে তাদের লোকজন পাঠিয়েছে। পটপরিবর্তনের পর এরা আবার রূপ পাল্টে বিএনপি বনে গিয়ে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি, দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমানে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নির্যাতিত ব্যবসায়ীরা।

এই বিভাগের আরো খবর