Logo
Logo
×

জনদুর্ভোগ

শহরে হকারদের কারণে সিংহভাগ যানজট

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম

শহরে হকারদের কারণে সিংহভাগ যানজট

 

নারায়ণগঞ্জে যানজট বিশেষ করে শহরের মূল সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের পরিচিত দৃশ্য, এটি একটি আলোচিত বিষয় যা মানুষের জীবনের ভোগান্তির অন্যতম কারণ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অসহনীয় এই যানজটের মূল কারণ কোথায়। সেই প্রশ্ন বিরাজ করছে জনমনে। তবে এক-তৃতীয়াংশ জনগনের ভাষ্য মতে, নগরীর মূল সড়কের অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু সড়কে বেদখল হয়ে আছে ফুটপাত।

 

ফুটপাতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে ভাসমান ব্যবসায়ীরা। ফলে পথচারীরা হাঁটা-চলার সুযোগ পাচ্ছে না। এছাড়াও সড়কে লেগে থাকে ভয়াবহ যানজট। হকার এবং যানজট এ দুটো হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ বাসীর প্রধান যন্ত্রণা। এই দুই যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না কিছুতেই। বরং দিন দিন যেন আরো তীব্র হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ থেকে সড়কে কোনো ভ্যান থাকবে না।

 

সকাল বেলাতে ফুটপাতে হকার না বসলেও বিকেল থেকে নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সড়কে চাষাঢ়া থেকে ২নং রেলগেট পর্যন্ত ফুটপাতের পাশে যত্রতত্র ভাবে বসেছে ভাসমান মার্কেট।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে যে ফুটপাত মরুভূমির মতো ফাঁকা ছিলো। বিকেল হতে না হতেই সেই ফুটপাত দখলে চলে যায় হকারদের। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না পেয়ে পথচারীরা মূল সড়কে নেমে যায়। এছাড়া এই হকারদের কারণে শুধু পথচারীদের ভোগান্তি হচ্ছে না বরং প্রতিদিন মূল সড়কে লেগে থাকে ভয়ঙ্কর যানজট।

 

নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সড়ক ব্যবহার করা পথচারীদের কাছে এই ফুটপাতের চলাচলের অসুবিধার কথা জানতে চাইলে তারা ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, মানুষ হাঁটার জায়গায়ই তো হকাররা রাখেনি। রাস্তায় জ্যাম থাকলেও ফুটপাতের মতো ভিড় লেগে থাকে না। ১০ মিনিট বসে থাকলে পরে যানজটের থেকে মুক্তি মিলে। কিন্তু ফুটপাতে হকারদের কারণে ৫ মিনিটের রাস্তা ১০ মিনিটেও পার করা যায় না। আমাদের তো কোনো না কোনো দরকারেই আমরা ফুটপাত ব্যবহার করি। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। মানুষ গাড়ি দিয়ে চলাচল করে না যানজটের কারণে ফুটপাত ব্যবহার করে না হকারদের কারণে তো মানুষ হাটবে কোথা দিয়ে।  

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ হকার সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম আসাদ গাজী যুগের চিন্তাকে বলেন, আমি হকারদের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা এখন দিনের বেলাতে বসে না। বিকাল ৪টার পর থেকে তাদেরকে বসতে বলেছি। এবং তারা তাই-ই করছে। এছাড়া চকি গুলোকেও কয়েকদিনের মধ্যে ছোট করে দিবো। যেন ফুটপাতে চলা-ফেরাতে কোনো কষ্ট না হয়। অন্যদিকে যারা ভ্যানগাড়ি নিয়ে সড়কে বসতো তাদেরকে আমি বলে দিয়েছি তারা যেন না বসে। আজ থেকে (বৃহস্পতিবার) থেকে আর বসবে না। এস.এ/জেসি   
 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন