রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ববানদের হস্তক্ষেপ চায় না.গঞ্জবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৩  

 

# অচল হয়ে পড়েছে শহর ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ
# জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা উচিৎ

 

 

অটো রিকশা নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জের মেয়র, এমপি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চায় এই শহরের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। গোটা নারায়ণগঞ্জ শহর এবং ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা এখন হাজার হাজার অটো রিকশায় সয়লাব হয়ে গেছে। এছাড়া প্রতিদিন যোগ হচ্ছে আরো কয়েকশ করে অটো রিকশা। কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা না থাকায় যেকোনো ব্যক্তি যখন খুশি এসব অটো রিকশা নামাতে পারছে।

 

ফলে নারায়ণগঞ্জ শহরতো বটেই গোটা ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ এবং গোগনগর ইউনিয়ন এলাকায়ও সারাদিন এমন কি রাতেও ভয়ানক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে জনজীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। জনপদ থেমে থাকা সহ ব্যাপক শব্দ দূষণ হচ্ছে। কিন্তু জেলার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জকে সচল রাখার দায়িত্ব যাদের উপর তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। তারা চুপ করে আছেন। তারা এই শহর সচল রাখার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছেন না।

 

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের সচেতন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ কালে তারা জানিয়েছেন এই শহরকে সচল রাখার মূল দায়িত্ব হলো পুলিশ সুপারের। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি তিনি অবাধে এসব অটো রিকশা নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকতে দিচ্ছেন। কিন্তু কোন কারনে তিনি শহরকে সচল রাখার দায়িত্বে অবহেলা করছেন সেটা তারা জানেন না। এছাড়া নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন জেলার এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে যেভাবে অটো রিকশা নামছে তা নামা বন্ধ করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।

 

অতীতে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্ধারিত সংখ্যক রিকশার নাম্বার প্লেট দেয়া হতো। এখন নতুন করে সেই সিস্টেম চালু করা উচিৎ। অটো রিকশাগুলো রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা জরুরী দরকার বলে তারা মনে করেন। এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল এই প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এসব অটো রিকশা নিয়ন্ত্রন করা না গেলে এই শহর বসবাসের এবং চলাচল করার অযোগ্য হয়ে পরবে।

 

এটাকে একটা বড় সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করে তিনি এই সমস্যা সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদগুলির চেয়ারম্যানগণ নির্ধারিত সংখ্যক অটো রিকশা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে শৃঙ্খলায় ফিরাতে পারেন।

 

আর ইউনিয়ন পরিষদগুলিকে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের দুই এমপি একেএম শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমান বিশেষভাবে নির্দেশ দিতে পারেন। এবং তাদেরকে সহায়তা করতে পারেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন যেকোনো মূল্যে এসব অটো রিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্যথায় এই শহর শিগগিরই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরবে। তাই মেয়র ও এমপিদের উচিৎ ব্যক্তিগত রেষারেষিকে দূরে রেখে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া। এস.এ/জেসি 

এই বিভাগের আরো খবর