শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অশান্তিতে শওকত চেয়ারম্যানের এলাকার মানুষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  


# প্রতিটি গ্রামে সক্রিয় ভয়ংকর ভূমিদস্যু চক্র, দিশেহারা সাধারণ মানুষ
#  চেয়ারম্যান সাহেব তাদেরকে ঠেলে দিচ্ছেন ভয়ংকর বিপদে

শওকত চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ জেলার একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান হিসাবে পরিচিত। তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান তাকে বড় ভাই হিসাবে মানেন। তিনি বিগত দুই যুগ ধরে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি।

 

 

আর শামীম ওসমান সারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিত। তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি। তাই এই শওকত চেয়রম্যান তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই নিজেও নিজেকে বেশ ক্ষমতাশালীই মনে করেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো এমন একজন ক্ষমতাশালী চেয়ারম্যানের এলাকার সাধারন মানুষ মোটেও শান্তিতে নেই।

 

 

বক্তাবলীর প্রতিটি গ্রামে এখন ভয়ংকর চেহারা নিয়ে গজিয়ে উঠেছে আলাদা আলাদা ভূমি দস্যু চক্র। আর এই চক্রের সদস্যরা গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষের জমিজমাতো বটেই অনেকের বাড়িঘর দখল করে নিচ্ছে। প্রতিদিনই এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কারো না কারো জমি দখল করে নিচ্ছে ভয়ংকর ভূমি দস্যুরা।

 

 

ওরা ভেকু দিয়ে রাতারাতি মানুষের জমিজমা কেটে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করে দখল করে ফেলছে। শওকত চেয়ারম্যানের চোথের সামনেই ঘটছে এসব ঘটনা। তিনি চুপ করে তামাশা দেখছেন। বিভিন্ন গ্রামের নীরিহ বাসিন্দারা জানিয়েছেন প্রায় প্রতিটি ভ’মি দস্যুতার ঘটনাই শওকত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।

 

 

কিন্তু তিনি কোনো ঘটনারই সমাধান দিতে পারেন না। সাধারন মানুষের দাবি তিনি আন্তরিক ভাবে কোনো চেষ্টাই করেন না। তাই এসব ভূমি দস্যু সিন্ডিকেট দ্বারা তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে। তাই গোটা বক্তাবলী জুড়ে ভূমি দস্যুদের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ।

 

 

তারা তাদের চেয়ারম্যান শওকত আলীকে আরো স্ট্রং ভূমিকায় দেখতে চাইছে। সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি আরো শক্ত ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করে মানুষ। কিন্তু দিনে দিনে মানুষ হাতাশ হয়ে পড়ছে।

 


প্রসঙ্গত নদীবেষ্টিত বক্তাবলী ইউনিয়ন ফতুল্লা থানার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে এই ইউনিয়নের মানুষ বড় ধরনের ত্যাগ শিকার করেছে। কিন্তু সেই তুলনায় ইউনিয়নটির আশানুরোপ তেমন কোনো উন্নয়ন হয় নাই। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বক্তাবলী দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ করার কথা বললেও সেটার কোনো অগ্রগতি নেই।

 

 

তবে বক্তাবলী ঘাট দিয়ে নিয়মিত ফেরি চলাচল করছে। আর এই ফেরি চলাচলের কারনেই এলাকাটিতে আগের তুলনায় যাতায়ত অনেকটা সহজ হয়েছে। যার ফলে বেড়েছে জমিজমার মূল্য। আর এই মূল্য বৃদ্ধিই এলাকাবাসীর জন্য কাল হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে গড়ে উঠেছে নির্দিষ্ট ভূমি দস্যু সিন্ডিকেট।

 

 

আর এই টাউটবাটপার সিন্ডিকেট ভূমি দস্যুরা নিরীহ মানুষের জমি বিচার শালিশের নামে দখল করে নিচ্ছে বা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একের জমি অন্যকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে অসহায় মানুষ ছুটে যাচ্ছে তাদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর কাছে। কিন্তু শওকত আলী তাদের পাশে একজন শক্ত অভিভাবক হিসাবে দাঁড়াতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন বলেই ওই এলাকার মানুষ জোরালোভাবে দাবি করছে।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর