মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

আমাদের সময় ঈদে সালামি পঞ্চাশ পয়সা করে দেয়া হতো : আব্দুস সালাম

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করে। মাহে রমজানের এক মাসের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবনের সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হতে পারার পবিত্র অনুভূতি ধারণ করেই পরিপূর্ণতা লাভ করে ঈদের খুশি। আর এ খুশিকে যুগের চিন্তা পরিবারের ২৪’র পরিবারের সাথে ভাগ করে নিতে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম।

 

এবারের ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে আব্দুস সালাম জানান, ঈদের দিনে পরিকল্পনা হল পুরোনো বন্ধুদের একসাথে বসে আড্ডা দেয়া। আমাদের এই আড্ডাটা দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ হয়ে আসছে। ঈদে পরিবারের সাথে সময় কাটালেও পুরোনো বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা আমি কখনওই মিস করি না। ঈদ আসলেই শত ব্যস্ততা থাকলেও আমরা সকল বন্ধুরা এক সাথে হই। একসাথে খাওয়া দাওয়া আনন্দ করা হই-হুল্লোর করা হয়। এবার ঘুরতে যাওয়া বলতে ঈদের দিন শহরেরই থাকবো। ঈদের পর দিন পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাবো।

 

তিনি বলেন, ঈদের সময় সেমাইটা খেতেই আমার বেশি পছন্দ। অন্যান্য খাবার তো আছেই। তবে সেমাইটা খুব ভালো লাগে।
ঈদের  কেনাকাটা  প্রসঙ্গে তিনি জানান, কেনাকাটার কথা যদি বলি এখন পর্যন্ত একটা পাঞ্জাবী কেনা হয়েছে। এখন আর ওত নিজের জন্য  কেনাকাটার বিষয়টি মাথায় আসে না। মেয়ের জন্য কেনাকাটাটাই এখন আনন্দের।

 

ছোটবেলার ঈদের স্মৃতিচারণ করে আব্দুস সালাম জানান, বাবা-মায়ের সাথে ঈদে কাটানো দিনগুলো ততটা স্পষ্ট নয়। কারণ বাবা আমি যখন অনেক ছোট প্রায় চল্লিশ বছর আগে মারা গেছে আর মা পঁচিশ বছর আগে মারা গেছে। তবুও আমরা ভাইবোনরা প্রতিটি ঈদ একসাথে পালন করি। আমাদের পরিবারের একটা নিয়ম আছে, আমরা ভাইবোনরা যে যেখানেই থাকিনা কেন যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন ঈদের দিন সবাই একসাথে রান্না-বান্না, খাওয়া দাওয়া করা হয়।

 

ঈদের পোশাক কেনাকাটার মজার স্মৃতি নিয়ে আব্দুস সালাম জানান, ঈদে নতুন জামা কিনে লুকিয়ে রাখা,ঈদের নতুন জামা পরে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেড়ানো সবকিছু মিলিয়ে অনেক মজার স্মৃতি রয়েছে। যার অনেক এখন কিছুই মনে নেই।

 

ঈদে সালামির পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে আব্দুস সালাম জানান, সেটা তো অনেক আগের কথা। খুব কঠিন মনে করা। তবে প্রথম সালামি পাওয়ার  কথা মনে না থাকলেও আমার মনে আছে ঈদে সালামী পঞ্চাশ পয়সা করে দেয়া হত। আর প্রথম সালামি পাওয়া হত বাড়ির বড়দের কাছ থেকে। তারপর নতুন পোশাক পড়ে বেড়িয়ে পড়তাম।

 

তিনি বলেন, এখন তো বড় হয়ে গেছি এখন আর সালামি পাওয়া হয় না। তবে সালামি  দেয়া হয়। আমাদের সময় পঞ্চাশ পয়সায় সারতে পারলেও এখন তো ১০০ টাকায় সারা যায় না। আমার মেয়ে তো ঈদের দু’দিন আগে থেকেই গুনতে থাকে কত টাকা পাবে না পাবে। আমাদের সময়ও এমন ছিল। আমরা ও হিসেব করে রাখতাম কত টাকা পাব না পাব। সুন্দর মুহুর্ত্বও ছিল। এখনও খুঁজে পাই তবে পাওয়ার মাঝে নয় আনন্দটা খুজে পাই দেয়ার মাঝে।
আগে ঈদ উদযাপন আর এখনকার ঈদ উদযাপনের পার্থক্যেও বিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন, পার্থক্য তো আছেই। অনুভূতিটা থাকলেও আগের মত নেই। যেমন আগে অনুভূতি ছিল ছিল নতুন জামা পরে বন্ধুদের সাথে বের হওয়ার যে আনন্দ। সেই আনন্দ,অনুভূতিটা এখন আর আগের  মত নেই। তাছাড়া এখন সময়েরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

 

ঈদে সহকর্মীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি নিয়ে আব্দুস সালাম জানান, ঈদে সহকর্মীদের সাথে ঈদ আনন্দটা ভাগাভাগি করে নেয়ার একটা পন্থা হচ্ছে কাজ।  যেহেতু  আমরা সাংবাদিক সেদিক থেকে ঈদের দিন সকাল বেলা আমাদের কাজের চাপটা বেশি থাকে। ঈদের নামাজ পড়ে এসেই ঈদ জামায়াতের ফুটেজ বানানো। নিউজ দেয়া নানান কাজ থাকে। এর মধ্যেই হয় ওদের সাথে দেখা হয়ে যায়। মুলত কাজ দিয়ে যেহেতু দিনটা শুরু সেই দিক থেকে কাজ দিয়ে আমরা সহকর্মীদের সাথে আমরা ঈদ আনন্দটা ভাগাভাগি করা হয়।

 

যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডা থেকে আব্দুস সালাম পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর