শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১৩ ১৪৩১

আ.লীগের কর্মীদের সুখে থাকলে ভূতে কিলায় : এড. সাখাওয়াত  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৪  


আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে নগরীতে অবস্থান ও মিছিল করেছে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। গতকাল নগরীর খানপুর, আমলাপাড়া, চাষাঢ়া, ২নং রেল গেটসহ বিভিন্ন জায়গায় এ কর্মসূটি পালন করে তারা। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,  মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ যুবদলের নেতাকর্মীরা।
 

 


এসময় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের এখন প্রতিরোধ করার সময় এসেছে। ৫ আগস্ট যে বিপ্লবের মাধ্যমে সরকারের পতন হয়েছে সেখানে ২৭০০ জন শহীদ হয়েছে। রক্তের বিনিময় গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা রেখেই বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের কোন কর্মীর সাথে সামান্য খারাপ আচরণও করেনি।

 

 

আমাদের সেই ভদ্রতাকে তারা দুর্বলতা ভেবে নিয়ে আজ এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা হুমকি দিচ্ছে তারা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করতে চায়। কোন পলাতক নেত্রীর কথাই দেশের মানুষ কান দেবে না। এতদিন গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে জনগণ আপনাদের সাথে ভালো আচরণ করেছে কিন্তু আজকে আপনাদের আচরণই বলে দেবে আগামীতে আপনার সাথে জনগণের আচরণ কেমন হবে।
 

 


প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৫ই আগস্টে পর তিন মাস হল কিন্তু পাঁচজন আওয়ামী লীগের কর্মী সই থেকেও রক্ত ঝরেনি। কিছু লোক আছে সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। আওয়ামী লীগের উপর যেই স্ট্রিম রোলার চালানোর কথা ছিল সেটা চালায়নি বলেই তারা আজ বেশি বেড়ে গেছে। আপনারা যদি এমন কোন কিছু চেষ্টা করেন আপনাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

 

 

শেখ হাসিনারসহ বাংলার মাটিতে হাসিনার যত দোষর আছে সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েমের ক্ষেত্রে একমাত্র আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এই জাতির দেশের শত্রু তাদের মেনে নেওয়া যায় না। আসুন আমরা সবাই এদেরকে প্রতিরোধ করে।
 

 


মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমন কোন দুর্নীতি নেই যা তারা করেনি। ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণভবন দখল করেছিলো, আর গণভবন দখল করার আগেই খুনি হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে গেছে। তারা বিগত ১৬টি বছর ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি। তারা এদেশে সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।

 

 

দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে আর রাজপথে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। তারা এদেশের সন্ত্রাস, গুম, খুন, বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া ইতিহাস দিয়েছে। তাই আজ দেশের ২০ কোটি মানুষ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বাংলার মানুষ আর জয় বাংলা স্লোগান শুনতে চায় না। অবৈধ সরকার হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনা এমন কোন অপরাধ নেই যা করেনি।

 

 

এখন দেশ থেকে পালিয়ে গেলে অন্যকে দিয়ে অবস্থান করে বাহিরে থেকেই ষড়যন্ত্র করছে। কিছু সময় আগেও তার অডিও বার্তা ফাঁস হয়েছে। তার নেতাকর্মীরা ট্রাম্পের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। এরপর কেউ হামলা করলে সেই হামলার ছবি সে ট্রাম্পকে দিয়ে পাঠাবে। তাকে বোঝাবে যে বাংলার মানুষ বা রাজনৈতিক দলগুলোর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা কোন দেশের বা কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নই। আমরা শুধুমাত্র যুবলীগ ছাত্রলীগ শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

 


এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন,  বন্দর থানা বিএনপি'র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ।

 

 

মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর