বুধবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৪ ১৪৩১

আলীরটেক-বক্তাবলীতে আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪  

নারায়ণগঞ্জের পার্শবর্তি জেলা মুন্সিগঞ্জ,বিক্রপুর আলু চাষে সারাদেশে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এবং আলীরটেক ইউনিয়ন থেকে নানা ধরনের শাক সবজি থেকে শুরু করে আলু,পটল,টমেটো চাষ হয়ে থাকে। যদিও দিনের পর দিন এখানকার জমিও চাষাবাদ থেকে কমে যাচ্ছে। তবে এই শীতের মৌসুমে কৃষকরা অন্যান্য শাক সবজির পাশা পাশি আলু চাষে বেশি মনোযোগি হন। কেননা আলু চাষের মাধ্যমে কৃষকরা এক মোটে মোটা অংকের টাকা পানি। যদিও অভিযোগ রয়েছে এক শ্রেনীর শাসকরা সিন্ডিকেট তৈরী করে আলুর ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত  করে কৃষকদের। বক্তাবলী আলীরটেকের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু বপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

 


নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক বক্তাবলী ইউনিয়নটি একটি দীপেরে মত নদী বেষ্টিত এলাকা। এখানকার এখনো ৬০% লোক নানা ধরনের কৃষিকাজ করে জীবিকা  নির্বাহ করে। অনেকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে আবার অনেকে জমি বর্গা নিয়ে কৃষিকাজ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলীরটেকম চর আলীরটেক, ছমির নগর,বক্তাবলী কানাইনগর, রারমনগর, চরবয়রাগাদি, মধ্যনগর চর এলাকায় আলু রোপণকে ঘিরে কৃষকের কৃষকরা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। জমির ধান কাটা মাড়াই শেষে ওই জমিতে সেভেন জাতের আলু রোপণ চলছে। এ জন্য বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তত, সার প্রয়োগসহ আলু চাষে ব্যস্ত সবাই।

 


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট আবাদ যোগ্য  তিন  হাজার ৫শ’ ২১ হেক্টর জমি। এছাড়া মোট ফসলি জমি আট হাজার ৯শ’৬১ হেক্টর জমি। তার মাঝে ফসলি জমি রয়েছে তিন হাজার ৫শ’১৭ হেক্টর, তিন ফসলি জমি রয়েছে ১ হাজার ৮শ’৫৮ হেক্টর জমি। কৃষকদের তথ্যমতে এরমধ্যে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫০১ হেক্টর জমিতে জাতের আলু রোপণ কাজ চলছে। সরেজমিনে দেখা যায়, দ্বিগুণ লাভের আশায় মাঠে মাঠে চলছে এখন আলু রোপণ ও জমি প্রস্তুতের কাজ। কেউ জমি তৈরি করছেন, আগাছা পরিষ্কার, বীজ সংগ্রহ ও কেই আবার সার প্রয়োগ নিয়ে ব্যস্ত। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। আবার অনেক এলাকায় ইতোমধ্যে আলু রপোন করে ফেলছে।

 


আলীরটেক ইউনিয়নের গঞ্জকুমারিয় এলাকার দুলাল মাদবর জানান, এবার ছয় বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছি। সার, বীজ, পরিবহন, লেবার ও ছত্রাক নাশকসহ আলু ঘরে তোলা পর্যন্ত মোট খরচ হবে প্রায় তিন লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ওই ছয় বিঘায় আলু উৎপাদন হবে প্রায় বার হাজার কেজি। বাজার দর ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলে লাভ হবে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা।

 

 

শাফিজ উদ্দিন নামের এক আলু চাষী জানান, মৌসুমের শুরুতে আলু বীজ ৪০/৪৫ টাকা থাকলেও এখন ৬৫/৭০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। ফলে অনেকের আগ্রহ কমেছে আলু আবাদে। এছাড়া যান্ত্রিক লাঙল ছাড়া একখানা হাল ১০০০ টাকায় নিয়ে জমি চাষ করতে কৃষকেরা হিমশিম খাচ্ছেন। তাছাড়া কৃষকরা এখন আর আগের মত ন্যায্য মুল্য পায় না। আর এজন্য অনেক কৃষক হারিয়ে যাচ্ছে। আবার  অনেকের খরচের টাকা পর্যন্ত বাড়িতে নিতে পারে না।

এই বিভাগের আরো খবর