রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইসদাইর গাবতলী এলাকায় গ্যাসের অভাবে রান্না বন্ধ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  


আবার ফতুল্লার গোটা ইসদাইর ও গাবতলী এলাকা জুড়ে গ্যাসের জন্য হাহাকার বিরাজ করছে। দিনের পর দিন রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে এসব এলাকায়। অথচ মাসে মাসে মোটা অংকের বিল গুনতে হচ্ছে। ইসদাইর এলাকার বাসিন্দা মামুন গাজী জানিয়েছেন গ্যাসের অভাবে দিনে পর দিন রান্না করতে না পারায় তার পূরো পরিবার অসুস্থ হয়ে পরেছে। স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পরেছে ঘরের সবার।

 

 

কারন এখন আর মাঝ রাতেও গ্যাস থাকে না। ফলে দোকান থেকে কিনে নিয়ে পারোটা ভাজি আর মুরি বিস্কুট খেয়েই চলছে জীবন। এতে পেটের পিরা সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে পরিবারের সবাই। বাধ্য হয়ে হাবিজাবি খেয়ে তার বৃদ্ধা মা এখন মৃত্যু পথযাত্রী। কারন তার এতো টাকা নেই যে গ্যাস বিল পরিশোধ করার পর আবার সিলিন্ডার কিনবে।

 

 

শিশুদের দুধ গরম করারও কোনো উপায় নেই। এক কথায় তিনি চরম অসহায় বোধ করছেন বলে জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সব সময় দেখি সরকার লোক দেখানো উন্নয়ন নিয়ে ব্যাস্ত আছে। আরে ভাই পেটে যদি খাবারই না পরে তাহলে আমরা বাঁচবো কি করে। সরকারের অদক্ষতা এবং দূর্ণীতি লুটপাটের কারনেই এই অবস্থা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

 

 

তিনি আরো বলেন গ্যাস বিদ্যুৎ নিয়ে রীতিমতো সাগর চুরি হচ্ছে, তাই মাসের পর মাস আমরা গ্যাস পাচ্ছি না। কিন্তু প্রতি মাসে বিল পরিশোধ করতেই হচ্ছে। তিনি বলেন আমরা আসলে একেবারেই অসহায় বোধ করছি।

 


একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন গাবতলী এলাকার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস। তিনি বলেন আমি মনে করি সরকার যদি আমাদেরকে পাইপের মাধ্যমে গ্যাস দিতে না পারে তাহলে অবিলম্বে এই ব্যাবস্থাটাই বন্ধ করে দেক। কেনোনা তখন সবাই বিষয়টি মেনে নেবে এবং সবার বেলায়ই এটা প্রযোয্য হবে। দেশের কোনো এলাকায় গ্যাস থাকবে আবার কোনো এলাকায় থাকবে না এটা চরম অন্যায়।

 

 

বিলতো আমরা সবাই দেই। তিনি বলেন গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের এলাকায় কিছুদিন গ্যাস থাকে আবার কিছু দিন থাকে না। এতে আমাদের মরন দশা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে গ্যাস সংকট ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। গ্যাস না থাকায় রান্না বন্ধ। তাহলে আমরা বাঁচব কি করে। কি খেয়ে বাঁচব। ভাত রান্না করা যাচ্ছে না।

 

 

কিন্তু মাসে মাসে গ্যাস বিল ঠিকই পরিশোধ করছি। তিনি বলেন গ্যাস না থাকার কারনে কিযে কষ্ট করতে হচ্ছে বলে বুঝাতে পারবো না। ঘরের সকলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পেরেছে। গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছে পরিবারের সবাই। কিন্তু কার কাছে যাবো? কারোতো কোনো জাবাদিহীতা নেই।

 

 

তিনি আরো বলেন এই যে আপনার কাছে বললাম কিন্তু এটাকে সরকারের কেউ কেউ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হিসাবে ধরে নিতে পারে। পুলিশ এসে আমাকেও ধরে নিয়ে যেতে পারে। তবুও লিখুন। আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। মানুষ বাঁচে কি করে? কিছু খেয়েতো বাঁচে। খালি উন্নয়নের গল্প। অথচ গ্যাসের অভাবে ভাত রান্না কওে খেতে পারছি না।

 

 

তাই সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ হয় ঠিক মতো গ্যাস দিন না হয় একেবারে বন্ধ করে দিন। আমরা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যাবহার করবো। এখন মাসে মাসে চুলা প্রতি এক হাজার টাকা করে বিল দেবো আবার সিলিন্ডারও কিনবো। টাকা পাবো কোথায়? তাই দয়া করে একটা কিছু করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিাচ্ছি।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর