মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

ঈদের নতুন টাকা অনেকদিন রেখে দিতাম : হাকিম ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০১৯  

আড়াইহাজার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করে। মাহে রমজানের এক মাসের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবনের সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হতে পারার পবিত্র অনুভূতি ধারণ করেই পরিপূর্ণতা লাভ করে ঈদের খুশি।  যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডা আয়োজনে কথা নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আড়াইহাজার রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম ভূঁইয়া। 

 

ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি নিয়ে হাকিম ভূইয়া জানান, ঈদুল ফিতর সবাই ঘরে কড়া নাড়ছে। আর মাত্র একদিন। আমি প্রথমেই আড়াইহাজারবাসী তথা উপজেলা ও জেলার সকল সংবাদকর্মী, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি, স্থানীয় সকল দলের রাজনীতিবিদ সর্বপরি আমাদের পাঠকদেরকে জানায় ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছ এবং অভিনন্দন। সবার জীবনে ঈদ নিয়ে আসুক অনাবিল আন্দন। ঈদের আনন্দের মতোই বছর জুড়ে সবাই যেন কাটাতে পারেন আমি সেই প্রত্যাশাই করছি। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন ঈদের আনন্দ কারোর জীবনে ফিঁকে হয়ে না যায়। আমি আমার বাবা, মা ও সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবার নিজ গ্রামের বাড়ি আড়াইহাজারে ঈদ উদযাপন করব। ঈদের আনন্দকে সবার মাঝে বিলিয়ে দেব। কেনাটাকা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু টুকিটাকি কেনা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে কিছু হলেও কষ্ট হচ্ছে। তার পরও ঈদ বলে কথা। কেনাকাটা বলতে নিজের স্ত্রী ও সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক ও মা বাবার জন্য কেনা হয়েছে। 

 

ঈদের দিন বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে হাকিম ভূইয়া বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেঘনা নদীর তীরে ঘুরতে যাব। সময় পেলে সোনারগাও যাদুঘরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে। তাহলে আরো কিছু দর্শণীয় স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে দাদার কবর জিয়ারতে যাব অব্যশই। সদ্য প্রয়াত দাদির কথা খুব মনে পড়ছে। প্রয়াত ছোট দুইভাইকে খুব মিস করছি। আল্লাহ যেন তাদের বেহেস্ত নসিব করেন। আমিন। 

 

ছোটবেলার ঈদস্মৃতিচারণ করে হাকিম ভূইয়া বলেন, অনেক দুষ্টুমি করেছি। ঈদের তিন আগে থেকেই পটকা কিনে আনতাম। পাশের এলাকা গোপাদী বাজারে পটকা বিক্রি করা হতো। বন্ধুদের নিয়ে চলে যেতাম। তবে প্রতিযোগীতায় সব সময় এগিয়ে থাকার চেষ্টা করেছি। কার চেয়ে বেশী বড় পটকা কেনতে পারব। সেই প্রতিযোগিতা ছিল। ঈদের চাঁদ উঠেছে শুনেই আর দেরি নেই। শুরু করতাম পটকা ফুটানো। এখন আর সেই ভাবে হয়ে উঠে না। এক সময় ঈদের সেলামি সবার কাছ থেকে নিতাম। এখন সবাকে দিতে হয়। যদি বৃষ্টি না হয়। তাহলে বাইরে বের হব। আর বৃষ্টি হলে ফেসবুক ও অনলাইনে নিউজপোর্টালগুলো পড়ে সারাদিন কাটাব। মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলেই ঘুমাব। বাবা ও মামা’র ঈদ সেলামি জমিয়ে রাখতাম। অনেক টাকা হতো। নতুন টাকা অনেক দিন রেখে দিতাম। খুব সহজে এগুলো খরচ করা হতনা। একবার আমি টাকা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তারপর সেকি কান্না। অনেকগুলো নতুন টাকা।  সে বছর ঈদের আনন্দটাই ফিঁকে হয়ে গিয়েছিল। সেদিনের কথা মনে হলে হাসি অনেক পায়।

শুভানুধ্যায়ী সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাকিম ভূইয়া বলেন, সবার ঈদ কাটুক নির্মল আনন্দে সেই কামনা করি।


 

এই বিভাগের আরো খবর