বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

ঈদে ভূনা খিচুড়ী ও গরুর মাংস আমার খুব পছন্দের : আনিসুর রহমান দিপু

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৮   আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু। এবারের ঈদুল ফিতর ঢাকায় পরিবারের সকলের সাথে উদযাপন করবেন বলে জানান তিনি। ভাই বোনরা সকলে নারায়ণগঞ্জে থাকলেও এবার সবাই এবার ঢাকায় একসঙ্গে ঈদ করবে বলে পারিবারিক সিদ্ধান্ত হয়েছে জানান আনিসুর রহমান দিপু।

 

যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডায় ঈদ উদযাপন নিয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু জানান, ঈদের দিন নামায আদায় করে যেখানেই থাকি না কেন মাসদাইর গোরস্থানে এসে বাবা-মার কবর জিয়ারত করি। তারপরে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বন্ধু-বান্ধব, নেতাকর্মীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে বিকেলে বাসায় ফিরি। ঈদে আমার ভূনা খিচুড়ি আর গরুর মাংস খেতে খুব পছন্দের। ঈদের দিন ও এর পরদিন নেতাকর্মীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করি। ঈদের মূল বেড়ানোটা হয় ঈদের দুই তিনদিন পর। ঈদ সালামী বা ঈদী নিয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু জানান, ছোটবেলায় ঈদী বাবা, মামা, চাচারা দুই টাকা, এক টাকার নোট পাঁচটি দিয়ে দিতো।

 

পাঁচটি এক টাকার নোট তো বিশাল ঈদী। আর এখন তো ঈদী দিতে হয় চার হাজার পাঁচ হাজার টাকা। ফুটবল বিশ্বকাপে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু আর্জেন্টিনার সমর্থক। তিনি জানান, আমার স্ত্রী আর্জেন্টিনার সমর্থক। তবে আমার ছেলে ব্রাজিলের সমর্থক। এটা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাসায় তুমুল কান্ড চলছে। গাড়িতে কোন পতাকা থাকবে এটা নিয়েও বিশাল কান্ড। ঈদুল ফিতরে একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে আনিসুর রহমান দিপু জানান, আমার বাবা সরকারি চাকুরী করতেন। বাবা-মাসহ একবার আমার দাদা বাড়িতে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে ঈদের দিন আমার দুই চাচা একজন আরেকজনকে দুষ্টুমি করে ধাওয়া করলে আমার সাথে ধাক্কা খায়। পড়ে গিয়ে আমার পা ভেঙ্গে গিয়েছিলো, প্রায় দু’তিন মাস পায়ে প্লাস্টার লাগিয়ে আমাকে থাকতে হয়েছে। এখনো যখন আমার মামা-চাচারা দেখতে আসে প্রায়ই তারা আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, তোমার পা টা কি ঠিক আছে।

 

আগের ঈদ আর এখনকার ঈদ উদযাপনের মধ্যে অনেক পার্থক্য উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু জানান, আগের ঈদে মানুষের মাঝে খুব বেশি হৃদ্যতা ছিলো। এখন ঈদ হয়ে গেছে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার। তেমন হৃদ্যতা নেই। কারো বাসায় গেলে সৌজন্যমূলকভাবে শুধু বলে, ভাই এসেছেন, চা খান, সেমাই খান। আগে ঈদে নামায পড়ে বাসায় ফেরার পথে মানুষ ধরে নিয়ে যেতো। বলতো, আয় বাবা আমার বাসায় এসে প্রথমে সেমাইটা খেয়ে যা। এখন সবাই ঝামেলা এড়াতে পছন্দ করে। কেউ কেউ তো ঈদের দিন ঘুমাতে খুব পছন্দ করে। পরিবার ছাড়া ঈদ উদযাপনের প্রসঙ্গে আনিসুর রহমান দিপু জানান, ২০০২ সালে আমার নামে অনেকগুলো মামলা। আমি খুব উদগ্রীব ছিলাম পরিবারের সকলের সাথে ঈদটা করবো। কোর্টের শেষ দিন আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলছিলাম, আমার যাতে জামিনটা হয়। একইদিনে তিনটি মামলায় সেবার আমার জামিন হয়েছিলো। আমি আনন্দে কেঁদেই ফেলেছিলাম। বাবাকে ফোন করে বললাম, আমি আসতেছি।

 

ঈদে আসার পর নামায পড়লাম ঠিকই। পরিবেশটা অন্য রকম হওয়ায় সেখানে বেশিক্ষণ না থেকে কোনরকম নিজেকে রক্ষা করে চট্টগ্রাম চলে গিয়েছিলাম। ওই ঈদের কথাটা আসলে মাঝে মাঝেই মনে পড়ে। ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আনিসুর রহমান দিপু বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আমার পক্ষ থেকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক এই কামনা করি। ঈদের পর নির্বাচনী হাওয়া শুরু হবে। আমি চাই সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে উর্ত্তীর্ণ হবো। নেত্রীর নেতৃত্বেই আওয়ামীলীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে এবং দেশ খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু তাঁর সকল সহকর্মী, রাজনৈতিক বন্ধু, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ীসহ সকলকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর