রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১

ঈদ সালামি এখন কেউ দিতে চায় না, তাই জোর করে নেই : শাহ নিজাম

প্রকাশিত: ১ জুন ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঈদ মানে উৎসব। ঈদ মানে আনন্দ। প্রতিবছরই ঈদ আসে তবে প্রতিটি ঈদে থাকে ভিন্ন ভিন্ন স্মৃতি। তবে ঈদে ছোটবেলার আনন্দটাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। নতুন জামা পরা, মিষ্টান্ন খাওয়া, এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরতে যাওয়া এসব তো ছিলই বাড়তি ছিল ঈদের সালামি। প্রথম ঈদের সালামি কত বছর বয়সে, কত ছিল ঠিক মনে নেই। যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডায় ছোটবেলায় ঈদ উদযাপনের স্মৃতিচারণ এভাবেই করছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম।

 

ছোটবেলার ঈদের সালামি স্মৃতির প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন,  ছোটবেলার ঈদের প্রধান আকর্ষনণ ছিলো ঈদের নতুন পোশাক, জুতা আর সালামি। সকাল বেলা উঠে নামাজ পড়েই ছুটতাম আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। আগে থেকেই ঠিক করে রাখতাম কোথায় কোথায় যাব। কেউ দশ টাকা কেউ পাঁচ টাকা করে দিত। আর এ টাকা আম্মুর কাছে জমা রাখতাম।
 

শাহ নিজাম বলেন, ঈদ সালামি নিয়ে একটা মজার ঘটনা আজও মনে পড়ে। মনে আছে আমি ঈদ সালামির জন্য মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জের ভুঁইয়ারবাগে চলে আসছিলাম। ভুঁইয়ারবাগে আমাদের আমাদের বেশ জানাশোনা ছিলো। সেই সুবাদে সেখান থেকে প্রতিবার ঈদেই আমি বেশ ভালো অংকের সালামি পেতাম। তো সেই সালামির আশায়ই ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে লঞ্চে করে নারায়ণগঞ্জে চলে আসছিলাম। তো ওনাদের বাসায় গেলাম, সালাম করলাম। সেমাই দিলো খেলাম তার পরে সালামি না দিয়েই আমাদের বিদায় করে দিলো। এদিকে সেখান থেকে আমরা যখন মুন্সিগঞ্জ ফিরলাম ততক্ষণে সালামি দেয়ার সময়ও শেষ। আসলে সালামি বেশি পাবার আশায় সেইবার আর সালামিই পাওয়াই হয় নাই। ঐ ঈদটা আমার জন্য বেশ কষ্টের ছিলো।

 

ঈদে এখনও সালামি পাওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে শাহ নিজাম জানান, এখন আর কেউ সালামি দিতে চায় না। তাই এখন জোর করে বড় ভাইদের কাছ থেকে সালামি নিয়ে নেই।

 

ঈদের দিনে পরিকল্পনা নিয়ে তিনি জানান, ঈদের দিনের ব্যস্ততা বলতে সকালে নামাজ পড়ে মায়ের সাথে দেখা করবো। পরিবারকে সময় দিব তারপর নেতাকর্মীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করবো । ঈদের কেনাকাটা বলতে এখন তেমন কিছু কেনা হয় না। তবে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করা হচ্ছে।

 

ছোটবেলার ঈদ উদযাপন আর এখনকার ঈদ উদযাপনের পার্থক্য নিয়ে শাহ নিজাম জানান, এখনকার ঈদ আর তখনকার ঈদের সাথে অনেক তফাৎ। আগের মত এখন সেভাবে আনন্দটা খুঁজে পাই না। তবে ছোটদের যে আনন্দ উল্লাস তা দেখলে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। ইচ্ছে করে আবারো ছোটবেলার সে সময়ে ফিরে যাই।

 

শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশ্যে শাহ নিজাম বলেন, পরিবার-পরিজন,আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি আমার অগ্রীম ঈদ মোবারক।

এই বিভাগের আরো খবর