সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

উদাসীনতায় কাজে আসছেনা ‘বাস বে’

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২  


নারায়ণগঞ্জ এর প্রানকেন্দ্র চাষাড়ার বিজয় সরণি গোল চত্ত্বরে যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা।শহরে প্রবেশ করতেই যানজটের কবলে পড়তে হয় শহরবাসীকে। মনে হয় যেন মানুষের  নারায়নগঞ্জে প্রবেশ করাকে যানজট বরণ করে নেয়। এ যানজটের তীব্রতা কমাতে নারায়ণগঞ্জ  ট্রাফিক পুলিশ এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। তারা দড়ির সাহায্যে রাস্তা দুই ভাগে ভাগ করেছে। যার বাম পাশ দিয়ে বাস পার্ক করে যাত্রী নামাবে (বাস বে)।  আর ডান পাশ দিয়ে সরাসরি গাড়ি চাষাড়া ক্রস করে চলে যাবে ।

 

এতে করে যানজট অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। যা জনসাধারনের কাছে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে তবে এত সুন্দর একটি উদ্যোগ কিছু কিছু বাস চালক এর আইন না মানায় ও ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব  অবহেলায় পুরোপুরি ভাবে সফল হতে পারেনি। ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সরেজমিনে  চাষাড়া গোলচত্ত্বরে দেখা মিলে বাস চালকদের উদাসীনতার চিত্র। শীতল, উৎসব, হিমাচল সহ বেশ কিছু বাস নির্ধারিত জায়গায় না থামিয়ে রানিং  প্রধান সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী নামাচ্ছে। তখন রিক্সা বাসকে চারদিকে ঘিরে থাকে যাত্রী নেয়ার জন্য।

 

এতে করে সাময়িকভাবে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ট্রাফিক পুলিশের নেয়া সুন্দর উদ্যোগটি পুরোপুরি সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। যার কারনে জনসাধারণ হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা এর জন্য দায়ী করছেন স্বয়ং ট্রাফিক পুলিশদেরই। শরিফ নামের এক ব্যাবসায়ী জানান, আগে  এখানে অনেক যানজট লাগতো । তবে মাস খানেক হইছে এখানে পুলিশ ডিভাইডার বসিয়েছে। এর দরুণ কিছুটা যানজট কমলেও ট্রাফিক এর দায়িত্ব পালনে অবহেলার সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু বাস চালক নির্ধারিত জায়গায় বাস না থামিয়ে কৃত্রিম যানজটের সৃষ্টি করেছে। পাশেই ট্রাফিক পুলিশ বক্স থাকলেও তাদের কোনো তৎপরতা চোখে পরেনি এর বিরুদ্ধে। এর ফলে বাস চালকরা একই অপরাধ বারবার করার সুযোগ পাচ্ছে।

 


এ ব্যাপারে ট্রাফিক ( এডমিন) করিম  যুগের চিন্তাকে জানান, আমরা মাস খানেক হয়েছে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা যানজট নিয়ন্ত্রনে কাজ করছি । অনেকে আইন মানতে চায়না। আমরা তো শুধু একটা ব্যাপার নিয়ে পরে থাকতে পারিনা। তবে কেউ আইন না মানলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

এই বিভাগের আরো খবর