মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

একাধিক গ্রুপের মহড়ায় থমথমে কাঠেরপুল

সাইমুন ইসলাম

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৪  


শিল্পাঞ্চলখ্যাত ফতুল্লা সবসময় বিভিন্ন কারনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তবে এবার ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকালও মাইক্রো ফাইবার নামক একটি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঝুঁট ও ওয়েস্টিজ নামানো কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

 

এই একই জিনিসকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি এই এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিলো যা দেশব্যাপী আলোচিত ছিলো। এরপরও কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিলো। একই জিনিসকে কেন্দ্র করে বার বার সংঘর্ষ ও একাধিক গ্রুপের মহড়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কাঠেরপুলে।

 


তথ্যমতে, কাঠেরপুল এলাকায় শতাধীক রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েস্টিজ নামানো একসময় নিয়ন্ত্রন করতো ফতুল্লার এক শীর্ষ আওয়ামী নেতা। তবে সরকার পতনের পর তিনি এসব কিছু থেকে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। এরপরই শুরু এই সেক্টরটি নিয়ন্ত্রন নিয়ে বিএনপির একাধিক গ্রপের মধ্যো সংঘর্ষ।

 


তবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হলেও এসব নিয়ে ছাড় দিতে নারাজ উভয় পক্ষ।একটা সময় নিজেদের মধ্যো আপস হয়। তবে এ আপস স্থায়ী হয়না । সর্বশেষ গতকাল কাঠেরপুল এলাকার মাইক্রো ফাইবার নামক একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওয়েস্টিজ নামানোকে কেন্দ্র করে একাধিক গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে গোটা এলাকায়। এক পক্ষ আরেক পক্ষের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

 


এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় , এ এলাকায় মারুফ ও মোনায়েম গ্রুপ এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ওয়েস্টিজ নামানোকে কেন্দ্র করেই এ দ্বন্দ্ব। সরেজমিনে এই গ্রুপ দুটিকে প্রতিষ্ঠানটির দুই গেটে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

 


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মারুফ প্রধান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি নারায়ণগঞ্জে নেই। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সরকারি চাকরি করি। আমি এসবের মধ্যো নেই। আমার অনিচ্ছা তাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত কমিটিতে আমার নাম দেওয়া হয়েছে। ঝুঁট সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাকে মাইক্রোফাইবার কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো এসবের জন্য তবে আমি এসব করতে চাই না।

 


এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, এলাকায় যারা মাদক ব্যাবসা ও চাঁদাবাজী করে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। তারাই এইসব অপকর্ম ও জোর জবরদস্তী করে চলছে। তাদের না থামানো গেলে যেকোনো অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটতে পারে।

 


স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, এই কাঠেরপুল এলাকায় পান থেকে চুন খসলেই সংঘর্ষ বেধে যায়। এখানে কিছু অতি উৎসাহী বিএনপির নেতা ও কর্মী রয়েছে যারা এসবের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

 


তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ এখানে ঘটবে।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি