কম্বল আর ম্যাট্রেসের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে লেপ-তোষকের কদর
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২৪
কিছু দিন পরেই জেঁকে বসবে শীত। শীতের রাত মানে লেপের তাপে শান্তির নিদ্রা। তাই গরমের বিদায় জানিয়ে লেপ-তোষক বানানোর হিড়িক পড়ে যায়। অন্যান্য সময়ের তুলনায় লেপ-তোষক তৈরীতে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় তুলনামূলক বেশী।
ভীড় জমতে শুরু করে তুলায় তৈরী করা দোকান গুলোতে। কেউ নগদ টাকায় আগে থেকে তৈরি করাগুলো কিনে নেয়, কেউ বানানোর জন্য অর্ডার দেয়। অনেকে আবার পুরোনো লেপ-তোশক মেরামত করে থাকেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে দেখা গেলো এর ভিন্ন চিত্র।
শীতের আগমনে কদর নেই লেপ, তোশক ও জাজিমের। আগে এ সময় এসব সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করলে, বর্তমানে কাজ নেই কারিগরদের। লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে ভিড় থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ক্রেতা শূন্য বিক্রেতারা।
সরেজমিন শহরের কালীর বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা কেউ স্মার্ট ফোনের মধ্যে লুডু কেউবা আমার পুরোন গল্পে মগ্ন হয়ে সময় পার করছেন। দোকানগুলিতে নেই তেমন কোনো ভীড়। ব্যবসায়ীরা বসে বসে দিন কাটাচ্ছে, নেই কোনো কাষ্টমার।
বিক্রেতারা জানায়, দুই একদিন পরপর বড়জোর একটা থেকে দুইটা কাষ্টমার পাওয়া যায়। তাও মাথার বাঁলিশ তৈরীর কাস্টমার। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে তুলার তৈরী লেপ-তোষকের চাহিদা। মানুষ এখন কম্বল আর ম্যাট্রেসের দিকে ঝুঁকছেন।
লেপ-তোষাকের বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি গজ লেপ তৈরির কাপড়ের দাম ৪৫-৫০ টাকা, তোশকের প্রতি গজ কাপড়ের দাম ৪৬-৪৮ টাকা এবং প্রতি গজ জাজিম তৈরির কাপড়ের দাম রাখা হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা করে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কার্পাস তুলার দাম ১৮০-২০০ টাকা।
পোলি তুলার দাম ১২০-১৩০ টাকা, উলের দাম ৫৫-৬০ টাকা ও প্রতি কেজি জুটের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা করে। এ বছর এক পিস রেডিমেট লেপ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ২৭শ’ টাকার মধ্যে, তোশক বিক্রি হচ্ছে ১৪শ’ থেকে ২৫শ’ টাকার মধ্যে এবং জাজিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫শ’ টাকা থেকে ৪২শ’ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বালিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
কম্বল-ম্যাট্রেসের কিনতে এসে সোহেল জানান, এখনো শীত নামে নাই। গ্রাম সাইডে বেচাকেনা মোটামুটি থাকলেও শহরে এর বেচাকেনা খুবই কম। দাম বাড়ায় আগের থেকে অনেক খারাপ সময় যাচ্ছে আমাদের। যেখানে মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খায়, সেখানে লেপ তোষক কিভাবে বানায়।
জানতে চাইলে লেপ-তোষক কারীগর মো. মোশারফ হোনের জানান, লেপ তোষাকের চাহিদা এখন আর নাই মানুষের মধ্যে। এখন কম্বল আর কমফোর্টারই ব্যবহার করে মানুষ। তুলার চাহিদা আর নাই । সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাত্র ২৫০ গ্রাম তুলা বিক্রি হইছে। আগে ১০টা ১৫টা করে লেপ বানাইতাম। এখন তো কাজই নাই। কেউ আর আগের মতো লেপ তোষক বানায় না। এখন শুধু বালিশ বানায়। সামনে শীত বাড়বে, তখন হয়তো দু একটা লেপ তোষকের অর্ডার পেতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ২৫ বছর যাবত এই ব্যবসায় জড়িত। আগে মানুষ লেপ তোষক বানানো জন্য বসে থাকতো। আর এখন কোন রকম ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। আগের মতো নাই আর আমাদের ব্যবসা। এখন সবই পাওয়া যায় মার্কেটে। গত ৫ বছর যাবত আমাদের ব্যবসার লসের দিকে যাচ্ছে। ১ দিন কাজ করলে ৪ দিন বসে থাকতে হয়। সরকার আমাদের একটা নিদ্রিষ্ট যায়গা করে দিলে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে সুখে থাকতে পারবো।
লেপ-তোষক তৈরীর ব্যবসায়ী সনজিৎ সাহা বলেন, মানুষের হাতে এখন টাকা পয়সা নাই। দ্রব্যমূল্য যে হারে বাড়ছে, এতে মানুষ আর লেপ তোষক বানাতে চায় না। এখন তো বাজারের বিভিন্ন ধরণের আইটেম বের হয়ে গেছে। লেপ এর বদলে কম্বল কিনে, দামও কম। লেপের খরচ বেশী, কম্বলে খরচ কম। তাছাড়া লেপের থেকে কম্বল দেখতে সুন্দর বেশী। আগের মতো করে সেই চাহিদা নেই এখন আর। এক সময় শীত থাকতো টানা ৩ মাসেরও বেশী। এখন সেই শীত ১ মাসেই শেষ।
লেপ-তোষক তৈরীর কারিগররী পেশা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহ্য পেশা। এখন শীত আসলে কারিগররা লেপ-তোষক বানাচ্ছে এমন দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। বাহারি কম্বল আর ম্যাট্রেসের দাপটে হারিয়ে গেছে লেপ-তোষকের কদর। আর এই সময় ও রুচির মধ্যস্থতায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া লেপ-তোষকের ব্যবসায়ী ও কারিগররা। দীর্ঘদিনের এ ব্যবসাকে না পারছে ছেড়ে দিতে না পারছে ধরে রাখতে। তাদের কারো কাছে এটা ঐতিহ্যে আবার কারোর জন্য এটাই একমাত্র উপার্জনের উৎস।
কালির বাজারের এক লেপ-তোষক এক কারিগর বলেন, লেপ-তোষকের কারিগর আমার দাদা ছিলেন, বাবা ছিলেন এখন ৬০ বছর যাবত আমি করছি। আগের মতো করে এখন আর সেই ব্যবসা আমাদের নেই বলা যায়। এখন কম্বল আর ম্যাট্রেসের কারণে আমাদের ব্যবসা অনেকটা নাজেহাল অবস্থা।
এখন আর কেউ শিমুল তুলার বালিশ তৈরী করতে আসে না সবাই ফোমের বালিশ কিনে। তুলার তোষক আর কেউ চায় না ফোমের তোষক কিনে। এখন রেডিমেট এর চাহিদা বেশী । লেপের পরিবর্তে কম্বল কিনে মানুষ। এতে করে আমাদের ব্যবসা লসের দিকে। অনেকে লসের কারণে এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য। ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই পেশার কারিগর। এন. হুসেইন রনী /জেসি
- মানুষের ভালোবাসা ধর্মের বেড়াজালে আটকে থাকেনা:আতাউর রহমান খান আঙুর
- অনুমতি না মেলায় ঘরোয়াভাবে লালন মেলার আয়োজন
- কারাগারে সাবেক মেয়র আতিক, পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ ও র্যাবের ফারুকী
- চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল না.গঞ্জের রেল চলাচল
- ডেঙ্গুর পরীক্ষার আড়ালে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ
- কম্বল আর ম্যাট্রেসের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে লেপ-তোষকের কদর
- ঘুষ লেনদেনের বিশাল নেটওয়ার্ক নির্বাচন কমিশনে
- আনিসুল ইসলাম সানি’র সুস্থতা কামনায় বন্দর প্রেসক্লাবে দোয়া
- নির্বাচন কমিশনারদের শপথ রোববার
- আ.লীগ-বিএনপির নামে মামা-ভাগিনাদের রামরাজত্ব
- পশ্চিমা দেশে হামলার হুমকি পুতিনের
- ট্রাইব্যুনালে স্বৈরশাসকের সকলকে বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে
- মাঠের রাজনীতিতে শক্তিশালী হচ্ছে ইসলামী দলগুলো
- যানজটে নাকাল নগরবাসী
- ফতুল্লায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু গিয়াসউদ্দিনের সমাবেশ
- রাজপথের আস্থার প্রতীক সাখাওয়াত-টিপু
- না.গঞ্জের পরিবহন সেক্টরের নয়া গডফাদার রানা
- অধরা রয়েছেন ওসমানদের আস্থাভাজন মামা-ভাগ্নি
- জেলা বিএনপি নিয়ে নীল নকশা
- শামীম ওসমানের নিয়মিত অর্থ যোগানদাতা শীর্ষ পাঁচ সন্ত্রাসী
- সালাউদ্দিনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দখলে ঝুট সেক্টর
- নতুন আইজিপি বাহারুল আলম ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী
- সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি
- টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে নলুয়াপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা
- ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল ১০ জনের নাম
- যমুনা ডিপোতেই ভাগ্যে পরিবর্তন তেল চোর টুটুলের
- যমুনা ডিপোতেই ভাগ্যে পরিবর্তন তেল চোর টুটুলের
- আ.লীগের সেক্রেটারি পলাতক, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সভাপতি
- ভূইগড়ে পলিথিন কারখানায় অভিযান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা
- ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই নির্যাতনের শিকার : গবেষণা
- ওসমান পরিবারের দোসরদের প্রতিহত করবে যুবদলের নেতাকর্মীরাই
- আ.লীগের সেক্রেটারি পলাতক, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সভাপতি
- শামীম ওসমানের নিয়মিত অর্থ যোগানদাতা শীর্ষ পাঁচ সন্ত্রাসী
- ফতুল্লায় শামীম ওসমানসহ ৬৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
- গাজীর সন্ত্রাসীরা এখন দিপু ভূঁইয়ার কর্মী : সেলিম প্রধান
- অধরা রয়েছেন ওসমানদের আস্থাভাজন মামা-ভাগ্নি
- সালাউদ্দিনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দখলে ঝুট সেক্টর
- না.গঞ্জের পরিবহন সেক্টরের নয়া গডফাদার রানা
- ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ব্যবসায়ীর লাশ, ধারণা হত্যা
- ফতুল্লায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু গিয়াসউদ্দিনের সমাবেশ
- জেলা বিএনপি নিয়ে নীল নকশা
- যমুনা ডিপোতেই ভাগ্যে পরিবর্তন তেল চোর টুটুলের
- আবারো ভর্তি পরীক্ষায় ফিরছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
- ভূইগড়ে পলিথিন কারখানায় অভিযান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা
- পাগলায় অবাধে চলছে অবৈধ পলিথিন কারখানা
- ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই নির্যাতনের শিকার : গবেষণা
- নাসিক সিইও’র নির্দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরীতে ঔষধ স্প্রে
- না.গঞ্জে বেড়েছে ছিনতাই
- টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে নলুয়াপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা
- রূপগঞ্জে সুতা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- আসছে ২০০ টাকার নোট
- সৌদি নারীদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশি পুরুষ !
- প্রতি মিনিটে কী ঘটেছে মানব দেহে ?
- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার : ৩৯ জন স্ত্রী, মোট সদস্য ১৮১
- পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী !
- সুন্দরীরা পুরুষের হৃদরোগের কারণ!
- লক্ষণেই বুঝে নিন আপনি অধঃপতনের দিকে যাচ্ছেন
- শহরে নতুন আলো (ভিডিও)
- সাপের পেট থেকে বেরিয়ে আসে অক্ষত দেহে !
- ঈদে সালামি বেশি আদায়ের কৌশল !
- একটি লুঙ্গির দাম ৭ হাজার টাকা !
- একা থাকার যত সুবিধা!
- আলিঙ্গন করার চাকরি, প্রতি ঘণ্টায় ৫৮০০ টাকা !
- ১০ নারীর ৭ জনই পুরুষকে ধোঁকা দেয়!
- `টয়লেট পেপার` লিখলে আসছে পাকিস্তানের পতাকা !