শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

করোনাভাইরাস: তিনটি মারাত্মক রূপ খুজে পেয়েছে বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২০  

ছবি সংগৃহিত: ডেইলি মেইল

ছবি সংগৃহিত: ডেইলি মেইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোভিড-১৯ গোটা বিশ্বে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে ১৬ লাখ ৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৯৫ হাজার মানুষের। বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় নামিয়ে আনা এই করোনাভাইরাস নিছক সাধারণ কোনও ফ্লু ভাইরাস নয়। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত এই ভাইরাস নিজের চরিত্রই বদলে ফেলে আরও সংক্রামক হয়ে উঠছে। এত বেশি নিজেকে বদলাচ্ছে এই ভাইরাস যে এর মতিগতি বোঝাই অসম্ভব হয় পড়ছে বিশ্বের বাঘা বাঘা ভাইরোলজিস্টদের কাছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন এখন পর্যন্ত তিন ধরণের মারাত্মক করোনভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ।এই তিন প্রকারের করোনা মানুষের ইমিউন সিস্টেমের সক্ষমতা বুঝে আক্রমণ করছে এবং সে অনুযায়ী করোনভাইরাসটি নিজের স্ট্রেনগুলো পরিবর্তন করে মানুষকে সংক্রমিত করছে। 
২৪ ডিসেম্বর থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত ভাইরাসটির জিনগত ইতিহাসের ম্যাপ করা হয়েছিল।  দেখা গেছে, তিনটি স্বতন্ত্র, তবে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত রূপগুলি প্রকাশ করে। তিনটি দলের আক্রমণের টার্গেটও ভিন্ন ভিন্ন।বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে ভাইরাসটি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরের প্রতিরোধের বিভিন্ন স্তরে কাটিয়ে উঠতে ক্রমাগত পরিবর্তন করতে পারে। টিকে থাকার জন্য এই ভাইরাসের নিজেকে পরিবর্তনের অসম্ভব রকম ক্ষমতা রয়েছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, চীনের উহান এবং পূর্ব এশিয়ায় যে ভাইরাসগুলো দেখা যাচ্ছে সেটা করোনা ভাইরাসের মূল প্রকার নয়। মূলত এটি নতুন একটি প্রজাতি। এই স্ট্রেন (টাইপ-বি নামে পরিচিত) এবং মূল সার্স-কোভি -২ ভাইরাস থেকে উৎপত্তি হয়েছে যা বাঁদুড় কিংবা প্যাঙ্গোলিনের (টাইপ-এ) মাধ্যমে মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। টাইপ-এ ভাইরাস এখন আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যাচ্ছে। এছাড়া টাইপ-সি নামের যে আরেকটি প্রকার আছে সেটা উহানের টাইপ-বি থেকে পরিবর্তিত হয়ে সিঙ্গাপুর হয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের যে মূল প্রকার সেটা চীনে দেখা যায়নি। চীনের উহানে বেশিরভাগ রোগী টাইপ-বি পাওয়া গেছে। আমেরিকা এবং ইউরোপে যে প্রকারের ভাইরাস পাওয়া গেছে সেটি টাইপ-এ। এছাড়া প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, তৃতীয় প্রকার টাইপ-সি প্রথমে ছড়ায় সিঙ্গাপুরে।
টাইপ-এ বাদুড় এবং পাঙ্গোলিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কাছের এবং এটি প্রাদুর্ভাবের মূল হিসেবে বিবেচিত। এটি উহানে পাওয়া গিয়েছিল তবে সেখানে খুব বেশি ছিল না।
টাইপ-এ এর আবার দুটি সাব-ক্লাস্টার রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, টি-অ্যালিল হিসেবে চিহ্নিত। পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া ভাইরাসের সঙ্গে এটির যথেষ্ট সংযোগ রয়েছে কারণ এটি উহানে বসবাসকারী আমেরিকানদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। তবে, দ্বিতীয় এ টাইপ সাব-ক্লাস্টার, সি-অ্যালিল নামে পরিচিত। মিউটেশনের একটি স্ট্রিংয়ের কারণে এটা কিছুটা আলাদা। (তথ্য সূত্র: ডেইলি মেইল)


 

এই বিভাগের আরো খবর