বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

কাদের অর্থায়নে চলছে হেফাজত?

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২১  

নারায়ণগঞ্জে হেফাজত ইসলামের তান্ডবের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছে একাধিক নেতাকর্মী। এর ভেতর রয়েছে বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি এবং হেফাজতের নেতা কর্মীরা। বিপুল সংখ্যক কর্মীদের গ্রেফতারের পর এদের আইনি সহায়তা এবং কারাগারের ভেতর অর্থ সহায়তা কারা দিচ্ছে এনিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বার বার গণমাধ্যমের সামনে হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবী করলেও আইনি লড়াইয়ে তাদের আর্থিক উৎস কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতের আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারিতে হেফাজত কর্মী নিহতের ঘটনায় সারাদেশে হরতালের ডাক দেয় তারা। সেই হরতালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত দিনভর তান্ডব চালায় হেফাজত। পুড়িয়ে দেয় অসংখ্য যানবাহন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গাড়ির মালিক ও পুলিশ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।


এর কিছুদিন পরে সোনারগাঁয় রয়েল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারী সহ অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সোনারগাঁয় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা। এসময় দোকান পাট ভাঙচুর সহ রয়েল রিসোর্টে হামলা, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা এবং সড়ক অবরোধ করে। সেই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।


এদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয় দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জে ৮টি মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার ও সোনারগাঁয় ৭টি মামলায় ৬৫টি জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এসকল মামলায় জাপা, বিএনপি ও জামাত নেতাদের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। বাকি সকলেই হেফাজতের নেতাকর্মী বা তান্ডবের সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। তবে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হয়েও তাদের আইনি সহায়তা কিভাবে দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই।


হেফাজতেরে একটি সূত্র জানায়, দলের ভেতর থেকেই কিছু অর্থনৈতিক ফান্ড সংগ্রহ করে দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের আইনি লড়াইয়ে খরচ করা হচ্ছে। অধিকাংশ হেফাজত নেতারাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকায় এই সুবিধা পাচ্ছেন তারা। এর ভেতর কিছু কর্মী দলের নেতাদের সুপারিশে তাদের পেছনেও আইনি লড়াইয়ে খরচ করে হেফাজতের নেতারা। তবে এসকল অর্থ কোথা থেকে জোগার হয় তা জানাতে রাজি হননি কেউই।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় মহানগর হেফাজত ইসলামের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের কাছে। তবে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
 

এই বিভাগের আরো খবর