সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

কাশিপুর ইউনিয়নে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্য

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২২  

#জন্ম নিবন্ধন ৬০০, পরিচয়পত্র ও প্রত্যয়নপত্র ১০০টাকা
#তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব: সদর ইউএনও

 

সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ এখন দুর্নীতির আখড়া। অনিয়ম-দুর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্য লেনদেনের মধ্যেই চলছে এই কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ। সরজমিন পরিদর্শনে ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি ও অনিয়মের এমন চিত্র উঠে এসেছে এই ইউনিয়ন পরিষদটিতে। সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে এই ইউনিয়ন পরিষদের পিয়ন থেকে শুরু করে সচিবের কাছে।

 

কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে ফি লাগে ৬০০ থেকে ৮০০ শত টাকা। পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন না থাকলে তা করতে ফি লাগে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নাগরিক পরিচয় পত্র করতে জন প্রতি লাগে ১০০ টাকা ও প্রত্যয়ন পত্র করার জন্য লাগে ১০০ টাকা। সরজমিনে, এমন চিত্র দেখা গেলে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বাহাউদ্দিন বলেন, এসব ফি লাগে, সবার কাছ থেকেই নেই। আমাদের যে স্টাফ আছে তাদের কোন বেতন নাই তাই আমরা এই টাকা নেই। জন্ম নিবন্ধন করতে আসা মিম নামে একজন জানান, আমি এবার নতুন ভোটার হবো, তাই আমার বাবা-মায়ের অনলাইন কপি জন্ম নিবন্ধন লাগবে।

 

এখানে আমার বাবা-মা ও আমার জন্ম নিবন্ধন করতে ১০০০ টাকা ফি চাইছে তারা, আমি কম দেবো বললে তারা ২০০ টাকা কম দিয়ে ৮০০ টাকা চালছে। কিন্তু গত জানুয়ারী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলে ছিলেন সরকারী ফি ছাড়া যদি কেউ জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন তাহলে তথ্য পেলে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ কেউর চাকুরী থাকবেন না। নতুন জন্ম নিবন্ধন সরকারি ফি হচ্ছে ৫০ টাকা। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি হচ্ছে ১০০ টাকা। নাম, পিতা-মাতার নাম সংশোধন ফি হচ্ছে ৫০ টাকা।

 

গতকাল কাশিপুর ইউনিয়নে পরিচয়পত্র ও প্রত্যয়ন পত্র করতে আসা আলিফ হোসেন নামে একজন জানান, আমার দুই ছেলে -মেয়ের পরিচয়পত্র ও প্রত্যয়ন পত্র করতে আসছি, দুইটা করার জন্য সচিব এর কাছে ১০০ টাকা করে ৪০০ টাকা দিয়েছি। এবিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়নের একজন নাগরিক জানান, দিন যত যাচ্ছে ততোই এখানে দুর্নীতি বাড়ছে। আমরা সাইফ উল্লাহ বাদলকে নির্বাচনে পাশ করিয়েছি আমাদের সেবা করার জন্য। কিন্তু সে ঠিক মতো ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না, বাসায় বসেই সে স্বাক্ষর করেন। যে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে থাকে না সে ইউনিয়নে তো দুর্নীতি হবেই।

 

এ বিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.সাইফ উল্লাহ বাদল টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এটা মিথ্যা কথা, আমি সচিবকে জিজ্ঞাস করব। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.রিফাত ফেরদৌস বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত না, অভিযোগ পেলে আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর