সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২২  

 

গত ১ আগষ্ট ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ডিলার পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি২২ টাকা পুননির্ধারন করা হয়েছে। এর চার দিন পরই জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে। ডিজেল ও কেরোসিনের ক্ষেত্রে লিটার প্রতি দাম ৩৪ টাকা, পেট্রোল ৪৪ টাকা এবং অকটেনে বেড়েছে ৪৬ টাকা।

 

পর পর ডিজেল ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচও বেড়ে গেছে। ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে সেচ দেওয়া, মাড়াই করা, ফসল ঘরে তোলা, শ্রমিকের মজুরি- সব ক্ষেত্রেই বাড়তি খরচের বোঝা টানা শুরু হয়েছে কৃষকের।


কয়েক দিনের ব্যবধানে ইউরিয়া ও ডিজেলের দাম বাড়াতে আমনের ভরা মওসুমে খরচ  মেটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অনাবৃষ্টি। এবার সারা দেশেই বৃষ্টি কম হওয়ায় আমন আবাদে সেচ বেশী লাগছে। এতে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে গেছে। উৎপাদিত ধান বিক্রি করে খরচ উঠবে না বলে আশঙ্কা কৃষকের। বিভিন্ন জেলার কৃষকেরা এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

 

অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষি অর্থনীতিতে নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ন্যায্য দাম পেতে হবে। আবার বাজারে চালের দাম বাড়লে দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবণযাত্রার খরচ বেড়ে যাবে। চালের দাম বাড়লে গরীব মানুষের কষ্ট অবধারিত ভাবে বেড়ে যাবে। কারণ, ‘দিন আনি দিন খাই’ মানুষের আয়ের বেশীর ভাগই খরচ হয় খাবার যোগাতে গিয়ে। মূলত চাল কিনতেই বেশী খরচ হয় তাদের। যা অবধারিত ভাবেই মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেবে।এসএম/জেসি 
 

এই বিভাগের আরো খবর