মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

গাদাগাদি করে শীতলক্ষ্যা নদী পারাপার

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২১  

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই নবীগঞ্জ- হাজীগঞ্জ ও বন্দর সেন্টাল গুদারাঘাটে, গাদাগাদি করে শীতলক্ষ্যা নদীপারাপার। কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। শীতলক্ষ্যা নদী পারাপারে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে কঠোরভাবে। কিন্তু শীতলক্ষ্যা নদী পারাপারে মানা হচ্ছে না সেই নির্দেশনা। নৌকা এবং  ট্রলারে করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই। ফলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

সরেজমিনে নবীগঞ্জ- হাজীগঞ্জ  ফেরিঘাট পরিদর্শন করে দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে যাত্রী এবং ঘাট ইজারাদার সংশ্লিষ্ট সকলেই উদাসিন। নবীগঞ্জ ঘাটের অবস্থা অন্তত নাজুক। এখানে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও চলছে ট্রলার ও নৌকা। নদীপারাপারের ঘাট বন্ধ করে দিয়ে সুযোগে ট্রলারে গাদাগাদি করে নেয়া হচ্ছে যাত্রী। ঘাট ইজারাদাররা কৌশলে দুই টাকা নদী পারাপারের টোল থাকলেও ট্রলারে জনপ্রতি ৫টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধির মানার কথা থাকলে তা মানছে না ঘাট ইজারাদাররা। ট্রলারে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদীপারাপার করছে তারা।

 

ফলে সামাজিক কোন দূরত্বই থাকছেনা যাত্রীদের মাঝে। এতে করে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। আর ঘাট ইজারাদারদের কাছে জিম্মি হয়ে পয়েছে সাধারন যাত্রীরা। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অসংখ্যা । অপরদিকে শীতলক্ষ্যা পারাপারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বন্দর সেন্টাল ঘাটে  ট্রলার ও নৌকায় গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। একটি করে ছৈওয়ালা নৌকায় ১৫ থেকে ২০ জনও নেয়া হচ্ছে। ট্রলারে একজন আরেকজনের গায়ের সাথে লেগে আছেন। ফলে সামাজিক কোন দূরত্বই থাকছেনা যাত্রীদের মাঝে। সকালে অফিস টাইমে এ অবস্থা আরো করুণ হয়ে পরে। তখন নৌকাগুলিতে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অসংখ্যা করছে সংশ্লিষ্টরা।

 

আল- আমিন নামের এক যাত্রী বলেন, ভাই কি বলবো বলেন আমরা বললে আর কি হবে। লকডাউনের অজুহাতে ঘাটের নৌকার মাঝি ও ঘাটের ইজারাদারদের কাছে আমরা সাধারন যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। দুই টাকার টোল আর ৫ টাকার নৌকা বেড়ে দিগুন গুনতে হয়। তারপর ১০জনের জায়গায় নৌকায় ১৫ থেকে ২০জন করে যাত্রী লয়। আর ট্রলারে তো গাদাগাদি করে নেয়। আমরা যদি প্রতিবাদ করি তাহলে নৌকার মাঝি ও ঘাট ইজারাদারদের রোষনালে পড়তে হয়। মাঝে মাঝে  প্রশাসনের লোকজন আসলে সুন্দর ভাবে ঘাট দিয়া নদী পারাপার হওয়া যায়। তারা চলে গেলেই আবারও ট্রলার ও নৌকায় গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার করা হয় বলে জানান তিনি।


 

এই বিভাগের আরো খবর