মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের জেনারেল শফিউল্লাহর বাড়ির পাশ হইতে জলসিড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ চলাচল করে।

 

স্থানীয়রা জানান, দ্রুত ওই রাস্তাটি সংস্কার না করা হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও নেই সংস্কারের উদ্যোগ। এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন গ্রামের হাজারো মানুষ আসা যাওয়া করে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি গলে কাঁদায় পরিণত হয়। পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়েই রাস্তাটি কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। ফলে এ রাস্তাটি মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এলাকার সাধারণ মানুষ বাজার করতেও বেকায়দায় পড়তে হয়। এতে তাদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটিই বাড়ে। এছাড়া এ রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদে ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে বিঘ্ন ঘটছে।

 

স্থানীয়রা অভিযোগ বলেন, জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১ বছর ধরে এ রাস্তাটির সংস্কার হচ্ছে না। বর্তমানে কাদা রাস্তার কারণে ঠিক মতো চলাচল করতে পারছে না এলাকাবাসী। এক মুসুল্লি বলেন, আমি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাই তবে এই রাস্তার কারণে ঠিক মতো মসজিদে যেতে পারি না। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় আমরা এই গ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারি না।

 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, এই রাস্তার পাশে যে ড্রেনটা রয়েছে সেটা রাস্তা থেকে প্রায় দুই ফুট উঁচু। এই ড্রেনের জন্য রাস্তাটির চওড়া কমে গেছে। রাস্তাটি ড্রেনের সমান করে দিলে এ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচলের পাশাপাশি রিকশা-ভ্যানও চলতে পারবে। তাই আমরা ড্রেনের সমান উঁচু করে রাস্তাটি আরো চওড়া করতে ঊর্ধ্ব মহলে আবেদন করেছি। আবেদন পাশ হলে আমরা এই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ ধরবো।

 

এই বিভাগের আরো খবর