রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

চার লাখে মামলা থেকে শেল্টারদাতা বদুর অব্যাহতি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৪  

 

 

 

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। যা ইতিমধ্যে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু অবস্থানে রয়েছেন। যাকে ঘিরে হত্যাকাণ্ডে জড়িতের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে দেখে গ্রেফতার করছেন পুলিশ ও র‌্যাব। জানা গেছে, মূল আসামী আলউদ্দিন হিরাসহ প্রায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন র‌্যাব ও পুলিশ। কিন্তু এখনো গ্রেফতারে আসেনি আরেক মূল হোতা সালাউদ্দিন সাল্লু।

 

কিন্তু সকলেরই প্রশ্ন হত্যাকাণ্ডের জড়িত না থেকে কিলিং মিশনে শেল্টার দাতাদের মধ্যে অন্যতম কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বদিউজাম্মান বদু। যিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিনই জানতেন তিনি এই বাহিনীকে প্রকাশ্যে শেল্টার দিয়েছেন সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার শঙ্কা ছিলো। কিন্তু তার এই শঙ্কা যেন অনেকটাই বাস্তবে রূপ নেয়। নিহত সুরুজ মিয়ার পুত্র মুন্না থানায় মামলা করতে গেলে সেখানে বদিউজাম্মান বদুর নাম ও উল্লেখ করা হয়।

 

 ওই সময় বদু খবর পেয়ে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের দিয়ে তদবির করিয়ে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলার এ জাহার থেকে অব্যহতি পেয়েছেন বলে এক সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের দ্বারা জানা যায়। তা ছাড়া আরো প্রকাশ্যে এসেছে যে, এই বদু এলাকায় অপকর্ম করতে সায় দিতেন এই দুর্ধর্ষ সাল্লু ও হিরাকে বাহিনীকে। এদিকে কিছুদিন পূর্বে নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্নার সাথে ইট-বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাল্লু ও হিরা বাহিনীর বিরোধ হয় যে ঘটনায় আচমকা সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়, কথিত আওয়ামী লীগ নেতা ডিস বদুকে।

 

 যা নিয়ে এলাকার মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা গিয়েছিলো অনেকেই বলেছিলেন, এই বদু কিভাবে এই সাল্লু ও হিরা বাহিনীর শেল্টার দিয়ে থাকেন একজন ব্যাবসায়ী হয়ে। একই সাথে অভিযোগ রয়েছে, এই ডিস বদু অল্প কিছুদিন যাবৎ অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো এলাকায় ১০/১৫ জন বহিরাগত নিয়ে এসে হুন্ডা শোডাউন দিতেন। তা ছাড়া কাশীপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যলায় বানিয়ে এই সাল্লু ও হিরা বাহিনীর সদস্যদের আস্থানা বানিয়ে দিয়েছিলেন এই বদু। 

 

তা ছাড়া এলাকায় সাল্লু ও হিরার বিরুদ্ধে কোন শালিশ হলে সেখানে প্রকাশ্যে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর পক্ষে থাকতেন এই ডিস বদু। চার লাখে মামলা থেকে এই শেল্টার দাতা বদুকে অব্যহতি দেওয়া ঠিক হয়নি বলছে এলাকাবাসী। অনেকেই বলছে, হিরা যদি মামলা শেষ করে আবারো কারাগার থেকে বেড়িয়ে আসে তাহলে পূণরায় তার সমর্থনেই থাকবেন এই বদিউজাম্মান বদু। এই সন্ত্রাসী হিরা ও সাল্লূকে সায় দিয়ে দুর্ধর্ষ হতে শেল্টার দেওয়া প্রভাবশালীদের ও বিচার অতি শীগ্রই চায় কাশীপুরবাসী।

 

ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আযম মিয়া যুগের চিন্তাকে বলেন, সন্ত্রাসীদের যারাই আশ্রয় কিংবা প্রশ্রয় দেয় তাদের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। তা ছাড়া সিসি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে আর এর বাহিরে কারা কারা ছিলো সবই খতিয়ে দেখছি আমরা। আমাদের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর