বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

চড়া দামে স্যালাইন বিক্রির অভিযোগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  


দিন দিন নারায়ণগঞ্জের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেগুলোতে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এতে ডেঙ্গু রোগীর শিরায় দেওয়ার স্যালাইনেরও চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। চাহিদা বাড়ার কারনে নারায়ণগঞ্জে দেখা দিয়েছে স্যালাইনের তীব্র সংকট। নগরীর বেশির ভাগ ফার্মেসী গুলোতে গত ১ মাস যাবৎ স্যালাইন সরবরাহ নেই।

 

 

জানা যায়, হাসপাতালে স্যালাইনের রয়েছে অপ্রতুল। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে স্যালাইনের সংকট নেই। ক্রেতারা বলছে, সংকটের দোহাই দিয়ে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনের কিছু ঔষুধের দোকানদাররা ৭০-৮০ টাকার স্যালাইন ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা দরে।

 


চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগীর রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে এবং রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সোডিয়াম ক্লোরাইড  স্যালাইন  রোগীর শরীরের শিরায় দেওয়া হয় যেটাকে আমরা চিকিৎসকের ভাষায় নরমাল স্যালাইন বলে থাকি।      

 


গতকাল নারায়ণগঞ্জের কালিবাজার পাইকারি ঔষুধের দোকান গুলোতে খবর নিয়ে জানা যায়, গত ১ থেকে ২ মাস ধরে ঔষুধ কোম্পানি গুলো ফার্মেসী গুলোতে স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না। বিভিন্ন দোহায় দিয়ে বলছে স্যলাইন নেই। বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বেশি হওয়ার কারনে বেশির ভাগ স্যালাইন সরবরাহের হচ্ছে সেখানে। এ কারনে আমাদের কাছে স্যালাইনে নেই।

 


খোজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে পড়েছে স্যালাইনের সংকট। প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীদের প্রায় ২টি করে স্যালাইন দেওয়া হয়। এতে করে হাসপাতালে স্যালাইন না থাকলে বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে ।

 


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এর তত্ত্বাবধায় ডাক্তার মো. আবুল বাশার যুগের চিন্তাকে বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন প্রচুর পরিমানে রয়েছে। আজকেও ঢাকা থেকে স্যালাইন নিয়ে আসা হয়েছে। রোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নার্সদের কথা শুনবেন না প্রয়োজনে ডাক্তার এর সাথে কথা বলবেন।  

 


কোথাও স্যালাইন না থাকার কারনে সে সুযোগে খানপুর হাসপাতালের সামনে স্থানীয় কিছু ঔষুধ ব্যবসায়ীরা সংকটের বাহানা দিয়ে ১ লিটারের নরমাল (এনএস) স্যালাইন ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছে।

 


দুঃখ প্রকাশ করেন হালিমা নামে স্যালাইন কিনতে আসা এক রোগীর মা বলেন, আমার মেয়ে গত ৫ দিন ধরে ডেঙ্গু রোগে হাসপাতালে ভর্তি। নার্স আপা হঠাৎ করে এসে বলে হাসপাতালে স্যালাইন নেই দোকান থেকে স্যালাইন কিনে নিয়ে আসেন। পরে আমি তাকে বললাম, এ রাতে আমি কই পামু আপনাগো এনতে দেন।

 

 

নার্স আপা বলে এখন স্যালাইন নেই যখন আসবে তখন হাসপাতাল থেকে দিবো। পরে বাধ্য হয়ে রাইতেই কালিবাজারের অনেক পাইকারি দোকানের স্যালাইন না পেয়ে এক জন বলে হাসপাতালের সামনে পাবেন। শুনে এখানে আইসা দেখি যেই স্যালাইনের দাম ৮০-১০০ টাকা ছিলো সেইসব স্যালাইন তারা সংকটের কথা বলে ২৫০-৩০০ টাকা করে বিক্রি করছে। রোগী যেহেতু অসুস্থ বাধ্য হয়ে কিনতেই হবে আমাদের এই জন্য দোকানদাররা দাম ছাড়ছে না।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর