রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১

জমে উঠেছে নগরীর ঈদ বাজার

মেহেরীন জারা

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৩  

 

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। ঈদকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের উপস্থিতির আনাগোনায় জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। রোজার প্রথম দিকে বেচাকেনা কম থাকলেও ১৫ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের পদচারণার মুখরিত হয়ে উঠেছে বিপণী বিতানগুলো।

 

 

সরেজমিনে নগরীর কালিবাজার ফ্রেন্ডস মার্কেট, ডিআইটি মার্কেট, চাষাড়া সমবায় মার্কেট, সান্তনা মার্কেট, হক প্লাজা, মার্ক টাওয়ারে ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি পোশাক। বিশেষ করে দুপুরের পর মার্কেটগুলোতে ভিড় বেড়ে যায় অনেক বেশি। হকারদের হাকঁডাকে প্রতিটি ফুটপাতের দোকানেও চলছে ঈদের কেনাবেচা।

 

 

রমজানের এ পর্যায়ে প্রতিদিনই আসছে  ঈদের নতুন কালেকশন। আর ক্রেতারা দেশীয় জামা-কাপড়ের পাশাপাশি সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি কালেকশনেও। ইদের বাজারে শিশুদের পোশাকের চাহিদা বরাবরই বেশি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না।

 


বাবার সঙ্গে ঈদের জামা কিনতে এসেছে ফিয়াদ। প্রতিটি দোকান ঘুরে ঘুরে ঈদেও পোশাক পছন্দ করছেন তার বাবার সাথে।
চাষাড়া হক প্লাজায় ব্যবসা করা এক বিক্রেতা জানান, প্রতি বছর রমজানের শুরুতে ঈদের বেচাকেনা শুরু হলেও এবছর ১০ রোজা পর্যন্ত তেমন ক্রেতার ভিড় দেখা যায়নি। আশা করছি এবার রোজার শেষ দিকে আশানুরূপ ভীড় বাড়বে।

 

 


কালিবাজার ফ্রেন্ডস মার্কেটের ভেতর পসরা সাজিয়ে বসেছেন স্বজল নামের এক ব্যবসায়ী তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পছন্দের পোশাক কিনতে মার্কেটে মার্কেটে ঘুরছেন ক্রেতারা। পুলিশি তদারকির মধ্যে দিয়েও বিক্রি মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। ধীরে ধীরে বেচাকেনা বাড়ার আশা করছি। আর আমররা সবসময় চেষ্টা করি ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক সরবরাহ করতে।

 

 


ঈদে রঙিন পোশাকের পাশাপাশি গহনা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেও বেড়েছে ভিড়। ঈদের নতুন পোশাকের সাথে মানান সই গহনা ও প্রসাধনী না হলে চলেনা ঘরের মেয়ে বউদের। আর তাই প্রতি বছর বাহারী পোশাকের সাথে তাল মিলিয়ে এসব প্রসাধনী ও গহনার চাহিদাও তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। তবে প্রতি বছরের তুলনায় এবারের চিত্র একটু ভিন্ন। ব্যসায়ীদের মতে এবার দ্রব্যমূল্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি থাকায়, বাড়তি কোন খরচ করছে না কেউ। এন.হুসেইন/জেসি