রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন না.গঞ্জের সাধারন মানুষ?

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩  


# বড় দুই দলের কোনো একটি অংশ না নিলে জমবে না নির্বাচন
দেশের বড় দুই দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা না করলে সেই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না মানুষ। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। তাই আগামী নির্বাচন যদি অংশগ্রহনমূলক না হয়, অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল অংশ না নেয় তাহলে তারা ভোট দিতে যাবেন না বলে পরিস্কার জানিয়ে দেন।

 

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় কথা হয় আলীরটেকের স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাথে। তার কাছে প্রশ্ন ছিলো আগামী নির্বাচন কেমন হবে এবং আপনি ভোট দিতে যাবেন কিনা? কারন ঢাকা-১৭ আসনে দেখা গেছে খুব কম মানুষ ভোট দিতে গিয়েছে।

 

 

এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি মনে করি আগামী নির্বাচন সুষ্টু হবে এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সহ সব দল অংশ নেবে। তাই আমি অবশ্যই ভোট দেত যাবো। তবে বড় দুই দলের কোনো একটি যদি কোনো কারনে নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে আমি ভোট দিতে যাবো না। কারন তখন আর আমার ভোটের কোনো দরকার পরবে না।

 

 

কারন তখন আগে থেকেই জানা থাকবে ওই নির্বাচনে কারা নির্বাচিত হচ্ছে। তখন নির্বাচন হবে একতরফা এবং তেমন কারো ভোট ছাড়াই একটি পক্ষ নির্বাচিত হবে। তবে আমার মনে হচ্ছে এবার আর একতরফা কোনো নির্বাচন হবে না। কারন এবার দেশের মানুষ খুবই সজাগ হয়ে উঠেছে এবং বিদেশী শক্তিগুলো এই নির্বাচনের দিকে খেয়াল রাখছে। তাই আমি মনে করি এবার শেষ পর্যন্ত সব দলের অংশগ্রহনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 


চাষাঢ়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে কথা হয় কলেজ ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান কাকনের সাথে। তার কাছে একই প্রশ্ন করা হলে তিনিও বলেন, আগে দেখতে হবে নির্বাচন কি সব দলের অংশগ্রহনে হচ্ছে কিনা? বিশেষ করে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল যদি কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে সেই নির্বাচন মোটেও জমবে না।

 

 

সেই নির্বাচন হবে একতরফা। এবারতো বিএনপি বলছে এবারের নির্বাচনে তারা এই সরকারের অধীনে অংশ নেবে না। তারা তত্বাবদায়ক সরকার চায়। আর আওয়ামী লীগ বলছে তারা বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন করবেন। তাই শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটাতো জানি না।

 

 

তবে পরিস্কার করে এটা বলতে পারি আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশ না নেয় তাহলে দেশের জনগন ভোট দিতে যাবে না। এমন কি আওয়ামী লীগের ভোটাররাও যাবে না। কেনোনা তখন ভোটের আগেই নির্ধারিত হয়ে যাবে যে কারা নির্বাচিত হচ্ছে। নির্বাচন হবে একতরফা।

 

 

তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে সারা দেশে বেশ সংঘাত ছড়িয়ে পরতে পারে। কারন বিএনপি যে আন্দোলন করছে তাতে নির্বাচনের আগে থেকেই তারা হরতাল ডেকে দিতে পারে। আর সেটা হলে মানুষ একেবারেই ভোট কেন্দ্রে যাবে না বলে আমি মনে করি।

 


অপরদিকে ফতুল্লার বাসিন্দা গাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার বয়স এখন ৩১ বছর। আমি ভোটার হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচনেই ভোট দিতে পারি নাই। কারন ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা ভোটে সংসদ সদস্য শামীম ওসান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখি আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে।

 

 

তাই আমি ভোটার হওয়ার পরেও আমার ভোট দেওয়ার কোনো অভিজ্ঞতা হয়নি। তাই আগামী নির্বাচনও সরকার যেভাবে করতে চাইছে তাতে আমি আমার ভোট দিতে পারবো কিনা সন্দেহ রয়েছে। তবে বিরোধী দলগুলি যে আন্দোলন করছে এই আন্দোলন যদি সফল হয় তাহলে আমরা ভোটের অধিকার ফিরে পাবো। তখন যোগ্য লোক দেখে ভোট দেবো। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলেতো কোনো প্রতিদ্ব›দ্বীতাই হবে না। ভোট দেয়ারও কোনো দরকার পরবে না।  এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর