সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১

টিটু-বারীতে নাজেহাল ফতুল্লা সুবিধা নিচ্ছে রিয়াদ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৪  

 

 

 

# গ্রুপিংয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সংগঠন

# বয়স্ক বারী ভূঁইয়া ও সুলতান আরেক গ্রুপিংয়ে ব্যস্ত

 

স্বার্থের রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে ফতুল্লা থানা বিএনপির। নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা এই ফতুল্লা এই থানার আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিগত দিনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যেমন প্রভাব ছিলো, তেমনি বিরোধী দল বিএনপির ও ব্যাপক প্রভাব ছিলো। কিন্তু দীর্ঘ দেড় যুগের ও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাহিরে অবস্থান করায় ও ফতুল্লা থানা বিএনপির কিছু নেতাকর্মী লিয়াজু সভ্রতারসহ নিজেদের মধ্যেই হরেক রকমের গ্রুপিং সৃষ্টি করায় ঝিমিয়ে পরেছে এই ফতুল্লার রাজনীতি। 

 

এ দিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বিগত দিন থেকেই সাবেক বিএনপি ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর চ্যালা তিনি বিগত দিনে ও সেন্টুর কথার বাহিরে অবস্থান করেনি বর্তমানে ও করে না। তা ছাড়া ফতুল্লার ঐতিহাসিক চৌধুরী বাড়ির ছেলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী। বিগত দিন থেকেই তিনি পারিবারিকভাবে ব্যাবসায়ী পরিবারের সদস্য। 

 

সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ব্যাবসা ঠিক রাখতে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ-নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর সাথে আতাঁত করেই চলেন। তা ছাড়া ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. বারী ভূঁইয়া জেলা বিএনপির গিয়াস পস্থী হওয়ায় তাকে রাজনীতে থেকে অনেকটাই সাইড লাইনে রেখে সভাপতি টিটু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রিয়াদ চৌধুরী মাঠে রয়েছেন। এদিকে বিগত দিন থেকেই রিয়াদের সাথে সখ্যতা রয়েছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের। 

 

সেই সুবাদে রিয়াদ সভাপতি টিটুর সাথে ও আজাদের একটি ভালো সখ্যতা তৈরি করে দিতে মরিহা হয়ে উঠেছে। এদিকে রাজনীতি ধরে রাখতে রাজনীতি থেকে ঝরে পড়া এড. বারী ভূঁইয়া সৃষ্ঠি করছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আরেক গ্রুপ। উনি বর্তমানে কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদের সাথে জোট বেধেঁছে। সেই অনুযায়ী গত (৩০ মে) থেকে শুরু করে টানা চার দিন ব্যাপী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়ার মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 

 

যা ফতুল্লায় তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পালন করতে দেখা যায়। টিটু ও রিয়াদের বলয়ে থাকা নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ইউনিটে মিলাদ ও দোয়ার মাহফিল করেছেন। একই সাথে বারী ও সুলতানের বলয়ের নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে বিভিন্ন ইউনিটে করেছে। একই সাথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন মাহমুদের রয়েছে আরেক গ্রুপ তার গ্রুপের থেকে ফতুল্লায় করেছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল।

 

 এদিকে সভাপতি টিটু ও সাংগঠনিক রিয়াদকে সকলেই বুঝে গেছে লিয়াজুকৃত নেতা হিসেবে। সেই অনুযায়ী ধীরে ধীরে কর্মী সংকটে পরতে যাচ্ছে ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি। শীগ্রই গ্রুপিং বন্ধ করে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

 

সূত্র বলছে, গত বছরের ১৩ জুন নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে ও সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্যদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে পারেনি জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক খোকন। এদিকে কমিটি হওয়ার পর থেকেই থানা বিএনপির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের মধ্যে অদৃশ্য কারনে দূরত্ব সৃষ্ট হয়। দলীয় কোন প্রোগ্রামে তাদের একসাথে এখনো দেখা যায়নি। 

 

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কোন্দলে বিব্রত কমিটির দায়িত্বশীল নেতাদের একাংশ। আরেক অংশ আবার এই বিভাজনের পালে নিয়মিত হাওয়া দিয়ে যাচ্ছেন। কমিটির মধ্যে সৃষ্টি করে যাচ্ছেন নয়া কমিটি! ওই পক্ষটিই এখন থানা বিএনপির সর্বে সর্বা হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে বশে এনে ছড়ি ঘুড়ানোর পাশাপাশি জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন অনুসারী হিসেবে পরিচিত থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়াকে আবার এই বিভাজনের পালে যত হাওয়া দিয়ে যাচ্ছেন।

 

 কমিটির সৃষ্টি করে যাচ্ছেন নয়া কমিটি! এদিকে বর্তমানে ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি নিয়ে আসতে পারে নতুন আওয়াজ কারণ টিটু ও বারীর দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে রিয়াদ। বর্তমানে বারী ভূঁইয়াকে সাইড লাইনে ফেলে নয়া সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব চায় রিয়াদ। সেই কারণে দলে গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের কাছে কমিটির অবস্থান প্রেস করতে আরেক গ্রুপিং তৈরি করছে বারী ভূঁইয়া ও সুলতান মাহমুদ।

এই বিভাগের আরো খবর