রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ডেঙ্গুর বিস্তারে চেয়ারম্যানদের কিছু করার নেই

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৩  


# চার ইউনিয়নে মহামারিতে রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু
ফতুল্লা থানার চারটি ইউনিয়নে মহামারি রুপ নিতে পারে ডেঙ্গু। কারণ এসব ইউনিয়নে মশক নিধনের নূন্যতম কোনো ব্যাবস্থা নেই। তাই সারা বছরই মশার কামড় খেতে হয় ফতুল্লাবাসীকে। ফলে মশাবাহিত রোগগুলির বেশি পরিমানে শিকার হচ্ছে এসব ইউনিয়নের মানুষ। ঘনবসতিপূর্ণ ফতুল্লা থানা এই চারটি ইউনিয়ন হলো কাশীপুর, এনায়েতনগর, ফতুল্লা এবং কুতুবপুর।

 

 

ইউনিয়ন চারটির চারজন চেয়ারম্যান সকলেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের লোক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের তেমন কিছুই করার নেই। কারণ এসব ইউনিয়নের অবস্থান শহর এলাকায় হলেও কাগজে কলমে এগুলোকে গ্রাম বানিয়ে রাখা হয়েছে। শামীম ওসমানের বাধার কারনে এসব ইউনিয়ন সিটি করপোরেশনে যেতে পারেনি।

 

 

আর কোনা গ্রাম এলাকায় বা ইউনিয়ন পরিষদে মশক নিধনের জন্য নির্ধারিত লোকবল বা কোনো বরাদ্ধ থাকে না। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। শুধু মশক নিধন নয়, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না এসব ইউনিয়নের মানুষ। তাই ফতুল্লার চারটি ইউনিয়নে এডিস মশার বিস্তার ঘটছে একেবারে সহজে।

 

 

ফলে এর জন্য এলাকাবাসী দায়ী করছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে। কারণ তিনিই ফতুল্লার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকাকে শহরের মর্যাদায় যেতে না দিয়ে গ্রামের মর্যাদায় রেখে দিয়েছেন।

 


এদিকে ফতুল্লার ইউনিয়নগুলিতে মশক নিধনের কোনো ব্যাবস্থা না থাকায় সেখানে ডেঙ্গু রোগীর বিস্তার লাভ করছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে ডেঙ্গু মহামারীর আকার ধারন করতে পারে ফতুল্লার ইউনিয়নগুলিতে। বিপরিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশার উপদ্রব তেমন একটা নেই বললেই চলে।

 

 

মশক নিধনে প্রতিনিয়ত ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। যার ফলে সিটি করপোরেশন এলাকায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মশার উৎপাত এবং ডেঙ্গুর বিস্তার। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ সময়ে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা বিশেষ নজর রাখছেন।

 

 

তাই সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশার বিস্তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নারায়ণগঞ্জের সরকারী বেসরকারী হাসপাতালগুলি সব সিটি করপোরেশন তথা নারায়ণগঞ্জ শহরে থাকায় ফতুল্লার রোগীরা চিকিৎসার জন্য এখানেই আসছে।

 

 

তাই ডেঙ্গু রোগী ধরা পরলেই সিটি করপোরেশনের উপর দায় চাপানো হয়। কারণ হাসপাতালগুলো সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত। কিন্তু বাস্তবতা হলো ফতুল্লার রোগীই বেশি আসছে হাসপাতালগুলিতে।  এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর