মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৭ ১৪৩১

তরিকুল সুজনদের সাহসে ঘাটতি নেই

ইউসুফ আলী এটম

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  


তারুণ্যের দৃপ্ততায় ভাস্বর ছোটখাটো  গোবেচারা ধরণের মানুষ তরিকুল সুজন। দেহের গড়ন হ্যাংলা পাতলা হলেও গলায় বড় তেজ। কথায় তোতলানোর ভাব থাকলেও রাজনৈতিকমঞ্চে বক্তৃতা করেন তেজোদীপ্ত কণ্ঠে। গোবেচারা ধরণের সেই সুজনকেই কিনা ¯্রফে কথা বলার অপরাধে কিলঘুষি মেরে বিচার করেছে ২ দুর্বৃত্ত।

 

 

গত রোববার রাত ৯ টার দিকে নগরীর কলেজ রোড এলাকায় তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সুজন। তিনি আরো বলেন, ধারণা করছি হয়তো রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণেই ওরা আমার শরীরে আঘাত করেছে।

 


সুজনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ৬ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার বাবার নাম নূরুল ইসলাম হাওলাদার। ২০০৮ সালে তিনি মারা গেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। বর্তমানে প্রবাসী বড়ভাই মানিকের হাতধরেই তারা নারায়ণগঞ্জে আসেন। এখন তিনিসহ ৩ ভাই নারায়ণগঞ্জে থিতু। পরিবারের বাকী সবাই লপুর থাকেন।

 

 

সুজনের একভাই মনিরুল ইসলাম রতন নারায়ণগঞ্জ কোর্টের আইনজীবী,আরেক ভাই ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি নিজে জামতলায় থাকেন এবং হোটেল ব্যবসা করেন। জামতলায় অবস্থিত তার হোটেলের নাম;সল্ট এন্ড পিপার। পাশাপাশি তিনি একজন সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা।

 

 

তরিকুল ইসলাম সুজন নারায়নগঞ্জ জেলা গণতন্ত্র মঞ্চ ও জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বকারী। নারায়ণগঞ্জে প্রগতিশীল আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক সুজন আপাদমস্তকে একজন প্রতিবাদী পুরুষ। যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে তাৎক্ষণিক রাজপথে নেমে আসেন। মিছিল করেন,শ্লোগান ধরেন, জ্বালাময়ী বক্তৃতায় সহযোদ্ধাদের সাহসী করে তোলেন। তার এই প্রতিবাদী কণ্ঠ অন্যায়কারীর  বুকে কাঁপন ধরায়।

 


তরিকুল সুজন এখনো অবিবাহিত। বিয়ের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি লাজুককণ্ঠে বলেন,আগেতো নিজে প্রতিষ্ঠিত হই।   এন.হুসেইন রনী /জেসি