মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৭ ১৪৩১

দখলদারিত্ব নিয়ে টিটু-আলী গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৪  

# সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহাদ নামে এক যুবক গুরুতর আহত

#  কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হবে : ওসি ফতুল্লা

গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের অনেক এমপি, মন্ত্রীরা গ্রেফতারও হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই সারাদেশেই কিছু সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, লুটপাটকারী বেপরোয়া হয়ে উঠে আর এই সকল সন্ত্রাসীরা ৫ তারিখের পর থেকেই আরম্ভ করে যা এখনো চলমান রয়েছে। সারাদেশেই বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিয়তই কোন না কোন জায়গাতে দখল আর চাঁদাবাজি নিয়ে হচ্ছে একের পর এক সংঘর্ষ। 

 

বেশিরভাগই দেখা গেছে কিছু উশৃঙ্খল সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও অন্যন্য দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম। ইতিমধ্যেই এই সন্ত্রাসীকার্যক্রমের জ ন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপিরও বেশ কিছু সন্ত্রাসীদের আটক করেছে যৌথ বাহীনি। তারপরও থেকে নেই এই দখলদারি। নারায়ণগঞ্জেও প্রতিদিনই কোন না জায়গার ঘটছে দখলদারি, চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্মের ঘটনা এমনকি কোন কোন জায়গাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটছে সংঘর্ষের মতো ঘটনা।

 

জানা যায়, ৫ আগষ্টের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিভিন্ন জায়গাতে ব্যপক পরিমাণে লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ফতুল্লার কুতুবপুরে বিগত দিনে ১৬ টি বছর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দ্বারা নির্যাতিত হলেও তারা মনে করেছিলো এবার হয়তো মুক্তি পাবে। তবে সাধারন মানুষের সেই ধারনা পাল্টে দিয়ে ফতুল্লার কুতুবপুরের বিভিন্ন জায়গাতে শুরু হয়েছে দখলদারি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম। আর এই দখলদারিকে কেন্ত্র করে প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গাতে হচ্ছে সংঘর্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর নামে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে চলছে দখলদারি। ইতিমধ্যেই কুতুবপুরের শাহী মহল্লা, নয়ামাটি, রেললাইন, নন্দলালপুর, ভূইগর, দেলপাড়া সহ আশেপাশের এলাকাতে ইন্টারনেট, ডিস সংযোগ , সিমেন্টের দোকানসহ অন্যন্য সব কিছুই দখল হয়ে গেছে।

 

তবে আরেকটি গ্রুপ সেই সকল কিছু দখলদারির পাঁয়তারা করে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় শ্রমিক দলের নেতা মোহাম্মদ আলী ও শ্রমিক দল নেতা মুসলিমসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে পাগলা মেরিএন্ডারসন, নন্দলালপুর এলাকার বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল নেয়। বিশেষ করে নন্দলালপুর এলাকার বটতলা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দোকানপাট দখলে নেয় এই সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয় পাগলা মেরিএন্ডারসন এলাকায় দীর্ঘদিন অবৈধভাবে দখলে রেখে আধিপত্য ধরে রেখেছিলো শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহমেদ পলাশের অনুসারী আজিজুল। আর আজিজুলের সেই দখলকৃত জায়গা গুলো দখলে নিয়েছে শ্রমিক দল নেতা মোহাম্মদ আলী ও মুসলিমের দখলে।

 

আর সেই দখলের নিউজ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম অনলাইন মিডিয়া, পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে উদ্দেশ্যে করে তার নেতাকর্মীদের সামনে গালমন্দ করতে থাকে আর টিটুকে গালাগালের পর তার নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, আর এতে আহাদ নামে এক যুবক হয়।

 

এ বিষয়ে জানতে ফতুল্লা থানা অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ কোন ধরনের অভিযোগ জানায়নি তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার আসছিলো থানায় উনি বলল যদি কোন অভিযোগ হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে যেন মামলা নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরো খবর