রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

দিনের শুরু থেকে শেষ অসহনীয় যানজটে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪  


নগরীতে যানজটের ভোগান্তি নতুন কিছু নয়। দিন যত যাচ্ছে প্রতিনিয়ত এর সমস্যা আরো তিব্র আকার ধারণ করছে। সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিছুক্ষন পর পরই দেখা যাচ্ছে যানজটের চিত্র। গত ১ সপ্তাহে এই সমস্যা বেড়ে দিন-রাত দীর্ঘ যানযটে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলছে।

 

 

 নগরীর ব্যবসায়ীক এলাকা নিতাইগঞ্জ থেকে শুরু করে শায়েস্তা খান সড়ক, সিরাজউদ্দোলা রোড এবং ১নং রেল গেট থেকে খানপুর পর্যন্ত  যানজটের কারনে নগরবাসীর চলাচল দুস্কর হয়ে পরেছে। অপরদিকে শহরের অধিকাংশ চালকদেরই নেই ভালো প্রশিক্ষন ও লাইসেন্স।

 

 

জেনে না জেনেই এরা তৈরি করছে যানজটের, মানছে না কোনো ট্রাফিক আইন। ১০ মিনিটের রাস্তা আসতে আসতে প্রায় ১ ঘন্টা যানজটের মধ্যেই পরে থাকতে হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই।

 


ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইদানিং এই সমস্যা আরো বেড়েছে। যানজট দিয়েই আমাদের প্রতিটি দিন শুরু হয়, আর এই যানজটের কবলে পরে আমাদের রিকশা ভাড়াও দিতে হয় দ্বিগুন। অন্যদিকে যানজটের অন্যতম একটি কারন হয়ে দাড়িয়েছে বহুতল ভবনগুলোর সমনে যততত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখা। আর বর্তমানে অধিকাংশ ফুটপাত অবৈধ্যভাবে হকারদের দখলে যার কারনেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

 


কিছু পথচারীদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, কিছুদিন আগে শুনছি লিংকরোডের কাজের কারনে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি। এখন দেখি নগরীর আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি সড়কে সড়কে যানজট।  এ পরিস্থিতে মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে রিকশার পরিবর্তে হেটেই গন্তব্যে যাাতায়াত করতে হয়।

 


মূলত যানজট সমস্যা সমাধানে কর্তিপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া ও ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার কারন বলে মনে করছেন অনেকে। তাই তাদের দাবি, দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সড়কে শৃঙ্খলা ও যানজট নিরাসন করা।

 


ঢাকাগামী এক যাত্রী ফয়জুল বলেন, এতো এতো উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থ্ার কোনো উন্নতি দেখছিনা। প্রতিদিন সকালে অফিস যেতে যে ভোগান্তি পোহাতে হয় তা রীতিমতো যুদ্ধ জয় করার মতো লাগে। আধা ঘন্টার পথ যেতে সময় লাগছে ২ঘন্টার মতো।    

এই বিভাগের আরো খবর