শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

না.গঞ্জের পরিবহন সেক্টরের নয়া গডফাদার রানা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৪  

নারায়ণগঞ্জের পরিবহন সেক্টরে নয়া গডফাদারের আস্ফালন ঘটেছে। আর এই নয়া গডফাদার হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ শহরের একসময়ের বিএনপির ক্যাডার খ্যাত মমিনুউল্লাহ ডেভিডের ভাগিনা নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা। গত ৫আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পরিবহন সেক্টরে নয়া গডফাদার হিসেবে উত্থান ঘটান রানা। পরিবহন সেক্টরের গডফাদার হয়েই শহরের তিনটি বাস কোম্পানীর চেয়ারম্যান চেয়ারের মধ্যে ২টি গ্রীণ ঢাকা-বাঁধন পরিবহন দখল করে বসে আছেন এবং বন্ধন পরিবহন নামে আরেকটি পরিবহনের চেয়ারম্যান পদ ভাগাতে মড়িয়া হয়ে আছেন। আর এই বন্ধন পরিবহনের চেয়ারম্যান চেয়ার নিয়ে শহরের বাস টার্মিনাল ১নং গেইট এলাকায় কারাবন্দী জাকির খান গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন রানা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

 

 

সূত্র বলছে, গত ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জের পরিবহন সেক্টর থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের দোসররা গা ডাকা দিলে সেখানে উত্থান ঘটান শাখাওয়াত ইসলাম রানা। উত্থান ঘটিয়ে বন্ধন পরিবহন নামে সিটি বন্ধনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেখানে চেয়ারম্যান পদে লিটন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দেলু সিটি বন্ধন বাসের পরিচালনায় আসলে রানা ব্যর্থ হয়ে হিমাচল এসি বাস নামে নিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে রুট পারমিট বিহীন ১০টি বাস পরিচালনা করেন। কিন্তু হিমাচল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বেশিদিন টিকতে না পেরে চলে যায়। পরবর্তীতে আবারও গ্রীণ ঢাকা নামে আরেকটি এসি বাস ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে রুট পারমিট বিহীন এই পরিবহনের চেয়ারম্যান হিসেবে রানা এসি বাসগুলো পরিচালনা করলেও রুট পারমিট বিহীন হওয়ায় প্রায়ই মোবাইল কোর্টের অভিযানে জরিমানা জব্দ হতে হচ্ছে। 

 

এছাড়া আওয়ামীলীগের গডফাদার শামীম ওসমানের পরিচালিত শীতল এসি বাস নামের কাউন্টারটি দখল করেই রানার গ্রীণ ঢাকার পরিবহনটি পরিচালিত করে যাচ্ছে। অপরদিকে বাঁধন পরিবহন নামে নারায়ণগঞ্জ-সোনারগাঁ রুটে চলাচলরত সেই বাসেরও চেয়ারম্যান পদে আশিয়ান হন উক্ত বাস কোম্পানীর আওয়ামীলীগের সময়ের হর্তাকর্তা রওশনের হাত ধরে রানা। এছাড়া ৫ আগস্টের পর বন্ধন পরিবহনের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর লিটন-দেলুকে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে নামাতে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান নেন বাস টার্মিনাল এলাকায় রানা। পরবর্তীতে লিটন-দেলু জাকির খাঁন অনুসারীদের আস্থাভাজন হওয়ার জাকির খাঁন গ্রুপের নেতাকর্মীরাও বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান নিলেই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

 

যেখানে গুলিবর্ষণসহ ককটেল বিস্ফোরণ হয় পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে যৌথ বাহিনী অবস্থান নিলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরবর্তীতে উভয় গ্রুপেই একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে বন্ধনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলু গ্রেফতার হলে বন্ধন পরিবহনে নয়া নিয়ন্ত্রণ আসে। এরপরও বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনের সহযোগীতায় এখনো বন্ধন পরিবহনের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া রয়েছেন রানা। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ বাস কোম্পানী ও মালিকরা এখন রানার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। 

এই বিভাগের আরো খবর