না ফেরার দেশে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৮ পিএম
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। জীবনের ৯২ বছর পার করার পর চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে জীবনকালের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসসহ বেশকিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, কিছুটা সাড়া দিচ্ছেন লতে এবং বিভিন্ন থেরাপি চলছে। কিন্তু সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি এ কিংবদন্তীর।
এর আগে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।
ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের জন্ম ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে এক মারাঠি পরিবারে। বাবার হাত ধরে অভিনয় ও গানের জগতে এলেও মাত্র ১৩ বছর বয়সেই বাবাকে হারান তিনি। ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির গান রেকর্ডের মধ্য দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু। এরপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি তাকে। মুম্বাই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে ‘মজবুর’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে প্রথম কণ্ঠ দেন তিনি।
'নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়া' বলে আখ্যা পাওয়া লতা মঙ্গেশকর অর্ধশত বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ভারতের ৩৬টি ভাষায় প্রায় ৩০ হাজার গান গেয়েছেন।
১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার নিরিখে ‘গিনেস বুক’-এ নাম উঠেছিল লতা মঙ্গেশকরের। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করার অনন্য নজির গড়েন প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান করা এ শিল্পী। ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৯৮৯ সালে পান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার।