সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৯ ১৪৩১

প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জমে উঠেছে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৪  

 

 

দ্বিতীয় ধাপে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হতে যাচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজেদের মধ্যে। গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলের প্রার্থী ছিলেন। সেই সময় ও বিভিন্ন জেলায় দুই প্রার্থী কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বীমুখী হওয়ায় নির্বাচনী আমেজ ফুটে উঠেছিলো এবার উপজেলা নির্বাচনেও একই চিত্র ফুটে উঠেছে।

 

এদিকে জানা গেছে, আগামী (২১ মে) সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সকল উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাথে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লড়াই হতে গেলে ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি পুরোই আলাদা। বর্তমানে এই উপজেলা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ও চেয়ারম্যান পদ নিয়ে রয়েছে নানা সংশয়।

 

এই উপজেলায় বর্তমানে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী অবশিষ্ট রয়েছেন তারা হলেন, মো. হাবিবুর রহমান, আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানু) দুইজনই হেভিওয়েট শক্তিশালী প্রার্থী এমনটাই দাবি করছেন রূপগঞ্জবাসী। স্থানীয় লোকজন বলছে, এই দুইজনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়া তারা দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে এই উপজেলা নির্বাচন। এদিকে গত (২ মে) হাবিবুর রহমান হাবিবকে দোয়াত কলম ও আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানুকে) আনারস মার্কা দেওয়া হলে।

 

এর পর থেকেই দুই প্রার্থীর ব্যাপক গণসংযোগ ও মিছিল, শ্লোগানে স্বগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। তা ছাড়া এই রানু-হাবিবের সাথে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আলোচিত ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধান কয়েক দফায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য চেষ্টা করলে ও বরাবরই বিভিন্ন ইস্যুতে তার প্রার্থীতা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনো আশা ছাড়েনি এই সেলিম প্রধান তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে ও তা আবার বাতিল হওয়ায় তিনি পূর্নরায় আপিল করেছেন। যার শুনানি হতে পারে আগামী ৫মে।

 

এর আগেই মার্কা পেয়েই মাঠ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন এই দুই প্রার্থী। ইতিমধ্যে ভূলতা, মুড়াপাড়া, কায়েতপাড়া বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে জনগণের সাথে বিভিন্ন সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন হাবিবুর রহমান ও ভূঁইয়া রানু এই দুই প্রার্থী মাঠ চষে সকলের থেকে ভোট চাইছেন। যার মাধ্যমে নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে  পরেছে রূপগঞ্জবাসীর মাঝে। সকলেই ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী বাছাই করতে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে।


এই রূপগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৯০হাজার ৬০৭জন, যাতে পুরুষের সংখ্যা ২লাখ ৫১জন আর মহিলা সংখ্যা ১লাথ ৯০ হাজার ৫৫৪জন। নির্বাচনে, উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ভোট প্রয়োগের জন্য ১৪২টি ভোট কেন্দ্রে থাকবে ১হাজার ১১টি ভোট কক্ষ।


এর আগে, দ্বিতীয় ধাপে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ৩০ এপ্রিল রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী ছিলেন যার মধ্যে ২ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

 

তারা হলেন গাজী গোলাম মূর্তজা ও মো. তাবিবুল কাদির তমাল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন যেখানে ৩ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন মো. হাবিবুর রহমান(হারেজ), মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া ও রাসেল আহমেদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন মো. মিজানুর রহমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৩ জন যার মধ্যে ২ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন তানিয়া সুলতানা ও সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন ফেরদৌসী আক্তার।

 

এই বিভাগের আরো খবর