শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আ.লীগ ফ্লপ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪  

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে এখনো থমথমে পরিস্থিতি গোটা দেশে। এ অবস্থার ব্যাতিক্রম নয় নারায়ণগঞ্জ।  এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে যার পরিমান প্রায় ৫০০ কোটি।  ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে গুরুত্বপূর্ন সব স্থাপনা। জনজীবনে নেমে এসেছিলো স্থবিরতা। শামীম ওসমানের পূত্র অয়ন ওসমানের জেড এন কর্পোরেশন এর আওতাধীন শীতল পরিবহনের দুই ডজনেরও অধিক বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  শামীম ওসমানের রাজনৈতিক আস্তানা খ্যাত নম পার্ক হামলার শিকার হয়েছে। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রনের বাইরে তখন অসুস্থ্য শামীম ওসমানও রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সাথে ছিলেন তার পূত্র অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরি ওসমান। 

তবে শামীম ওসমানের মিছিল সমাবেশে তার সংসদীয় এলাকার যে নেতারা বিশাল মিছিল নিয়ে বাঘের মতো গলা ছেড়ে স্লোগান দিতো শামীম ভাইয়ের ভয় নাই ,রাজপথ ছাড়ি নাই। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে সেই বাঘ সদৃশ নেতারা যেন বিড়াল বনে গেছেন, রাজপথে দেখা যায়নি কাউকে।   তথ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে সিদ্বিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের কান্ডারী হিসেবে  সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মুজিবুর রহমান ও ইয়াসিন মিয়া। 

তারা ফাকা মাঠে ছোট ছোট মিছিল করে নিজেদের বড় নেতা হিসেবে জাহির করলেও এই চরম দুঃসময়ে উভয় নেতাকে রাজপথে উকিও মারতে দেখা যায়নি। অথচ দীর্ঘদিন ধরে তারা ছিলো সুবিধাভোগের শীর্ষে। 

শুধু তারই  নন। সিদ্বিরগঞ্জের ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি,৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা,১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনসহ যারা সামান্য মেঘেই বর্জকন্ঠে তেতে উঠতো সেই সুবিধাভোগকারীদের কাউকেই কার্যত রাজপথে দেখা যায়নি।  অথচ শামীম ওসমানের সাথে সখ্যতার প্রভাবেই তারা আঙ্গুল ফুলে হয়েছেন কলাগাছ। প্রত্যেকেই সুবিধামতো বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছেন।  শুধু সিদ্বিরগঞ্জই নয়। শামীম ওসমানের সংসদীয় আসনের মধ্যো অন্যতম গুরুত্বপূর্ন হলো ফতুল্লা।  বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম ও সবচেয়ে বড় মিছিল হয় ফতুল্লা থেকেই।  কিন্তু এ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফতুল্লার কোনো বড় নেতাকেই মাঠে দেখা যায়নি। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল শারিরিকভাবে অসুস্থ্য থাকলেও শামীম ওসমানের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে তার নির্দেশে তার নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মিছিল নিয়ে বেড় হতো। তার নির্দেশে কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী সম্পাদিত হতো। 

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তিনি তার নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা দেননি। তার নেতাকর্মীরাও ছিলো না মাঠে। অথচ দীর্ঘ ১৫ বছরে তিনি এই আওয়ামীলীগ থেকে সুবিধাভূগীদের শীর্ষে ছিলেন।  শুধু তিনিই নন। ফতুল্লা থানা যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল আলী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটনসহ মিছিল সমাবেশে ফাকা মাঠে যারা বিশাল জমায়েত করে তাক লাগানোর চেষ্টায় ছিলো তাদের কাউকেই ভরা মাঠে উকি পর্যন্ত দিতে দেখা যায়নি।  এমন পরিস্থিতিতে অনেকে মজার ছলে বলে ফেলছেন এরা ফাকা মাঠে বাঘ কিন্তু ভরা মাঠে বিড়াল।  এইসব সুবিধাভোগীরা দলথেকে নিতে জানে বিনিময়ে কিছু দিতে যানেনা। এরাই দীর্ঘদিন বড় বড় পদ আকড়ে বসে আছেন। ফাঁকা মাঠে মাঝে মাঝে গর্জন করেন। 

এই বিভাগের আরো খবর