শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১৩ ১৪৩১

ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে : মামুনুল হক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৪  

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, যারা আওয়ামী লীগ করেছেন তারা তওবা করে সারা জীবনের জন্য সরে আসুন।ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা মানুষের উপর দীর্ঘ ১৫ বছর নির্যাতন, অত্যাচার, গুম ও খুন করেছেন। শুধু গুম, খুনই করেনি, প্রতিটি সেক্টরে করেছে দুর্নীতি ও লুটপাট। খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। ২০ অক্টোবর (রোববার) সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  

 

মামুনুল হক আরও বলেন, তোমাদের তওবা করা উচিত। তওবা করো আর কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবা না। তওবা করো এই শেখ পরিবারের পেছনে আর কোনদিন নাচবে না। এরা একবার বাকশাল করে তোমাদের কলঙ্কিত করেছে, আর ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়ে তোমাদের কলঙ্কিত করেছে। শেখ হাসিনা পঞ্চাশ বছর ধরে রাজনীতি করে। এই পঞ্চাশ বছরের রাজনীতি ছিল বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধের রাজনীতি। শেখ হাসিনা ভাবে এদেশের মানুষ তার বাবার খুনী। তার বাবার মৃত্যুর পর এদেশের মানুষ মিষ্টি খেয়ে দেশের সকল দোকান খালি করে ফেলেছে। এজন্যেই সে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের গুম-খুন ও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে প্রতিটি বিরোধী দলের নেতাকর্মী। সবচেয়ে বেশি তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে এদেশের আলেম সমাজ। ইসলামী সংগঠনগুলোকে বারবার রক্ত দিতে হয়েছে। গোটা বাংলাদেশে নবীর ইজ্জতের হেফাজত করতে গিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের রক্ত দিতে হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব, কিন্তু ইসলামের ওপর কোন আঘাত সহ্য করবো না।

 

শেখ হাসিনার দেসরদের হাত থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পেয়েছে। পরাজিত শক্তিরা আজ আবারও মাথা তুলে দাড়াতে চেষ্টা করছে। পনেরো বছর আপনারা এদেশের হাজারো মানুষের রাতের ঘুম হারাম করেছেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে থাকতে দেননি। আপনাদের উৎপাতে মানুষ শান্তিতে ব্যাবসা করতে পারেনি। 

 

২০২৪ সালে শেখ হাসিনা ও তার হাতুড়ি, হেলমেট লীগ যা করেছে তা বিশ্ব দেখেছে। গোটা বাংলাদেশকে তারা মৃত্যুপুরীতে রুপান্তরিত করেছে। এ হত্যাকান্ডের বিচারের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের যেখানেই আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে কোন কর্মসূচি পালন করতে নামবে বাংলাদেশের মানুষ তাদের মোকাবিলা করবে।

 

এখনই আমাদের পরস্পর বিরোধের সময় আসেনি। পতিত স্বৈরাচার ভিনদেশের প্রশ্রয়ে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ তাদের দলের ব্যানারে কোন কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে সব দল মত মিলে তাদের বিতাড়িত করতে যা করা দরকার তাই করবেন।

এই বিভাগের আরো খবর