বাবা লোকনাথ ছিলেন জীবন্ত গীতা
রণজিৎ মোদক
প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৪
“রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে, আমাকে স্মরণ করো, আমিই রক্ষা করবো”। ভক্তের জন্য ভগবান তার কৃপা বর্ষণ করেন। আকাশে মেঘ ঘুরে বেড়ায় কিন্তু সেই মেঘ সব জায়গায় বর্ষিত হয় না। বাবা শ্রী শ্রী লোকনাথ করুণার মেঘ বর্ষণ করে গেছেন সর্বত্র। আজ ৩ জুন সোমবার, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ১৩৪ তম তিরোধান দিবস। পশ্চিম বাংলার ২৪ পরগনা জেলার চৌরাশীচাকলা গ্রামে ধর্মপ্রান রামনারায়ণ ঘোষাল শ্রীমতি কমলা দেবী বাস করতেন। বাংলা ১১৩৭ খ্রিঃ ১৮ ভাদ্র ১৭৩০ খ্রিঃ শুভ জন্মাষ্টমী তিথিতে লোকনাথ জন্মগ্রহন করেন।
জন্মের পূর্বেই পিতা-মাতা লোকনাথকে ঈশ্বরে দান করার মনস্থির করেন। রামনারায়ণের চতুর্থ পুত্রকে মাত্র দশ বছর বয়সে শুভ দিন দেখে শ্রী ভগবান গাঙ্গুলীর হাতে তুলে দেন। লোকনাথের খেলার সাথী বেণী মাধব ও উপনয়ন ঘরে গ্রহন করে ত্যাগের জীবন বেছে নিলেন। ত্যাগ ভিন্ন ভগবানকে লাভ করা যায় না। মানব জীবন হচ্ছে ত্যাগের জীবন। ত্যাগের সাধনায় ব্রতী হলেন লোকনাথ ও বেণী মাধব। কালীঘাটে মায়ের মন্দিরে কিছুদিন অবস্থান করলেন। পরে আরো নির্জন স্থানে চলে যান। ব্রহ্মচার্য পালন করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন দেহ শুদ্ধির। এ কথা চিন্তা করেই উপবাসী ব্রত গ্রহন করেন। একের পর এক ব্রত পালনের মধ্য দিয়ে সিদ্ধির জগতে পা বাড়ালেন শ্রী শ্রী লোকনাথ ও বেণী মাধব।
পঞ্চাশ বছরের অধিককাল হিমালয়ে কঠিন তপস্যা করেন। গুরুদেব ভগবান গাঙ্গুলী জ্ঞান, ভক্তি, কর্ম ও অষ্টাঙ্গ যোগের সবকিছু শিক্ষা দেন। পরে তিনি শিষ্যদ্বয়কে নিয়ে মরুময় মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্র করেন। কাবুলে মোল্লা সাদী নামে এক ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তির সাথে দেখা হয়। সেখা লোকনাথ ব্রহ্মচারী কোরআন শিক্ষা গ্রহন করেন। পরে কাবুল থেকে তিনি মদিনায় আসেন। সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ তাদের যথাযোগ্য সমাদর করেন। মক্কা-মদিনাবাসী সত্যিকারেই অতিথিপরায়ণ ছিলেন। ৪০০ শত বছর বয়সী মুসলমান সাধক আবদুল গফুরকে দর্শন করেন।
তিন তিন বার হেঁটে লোকনাথ মক্কা ভূমি গিয়েছিলেন। মক্কা থেকে ভগবান গাঙ্গুলী তার শিষ্যদের নিয়ে শ্রীকাশিধামে বিশ্বনাথ দর্শন করেন। সেখানে কাশির চলন্ত শিব ত্রৈলঙ্গ স্বামীকে অভিবাদন জানান। ত্রৈলঙ্গ স্বামীর উপর লোকনাথ ও বেণী মাধবকে অর্পণ করেন। ভগবান গাঙ্গুলীর ১৫০ বছরের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ত্রৈলঙ্গ স্বামীর কুটিরে বেশকিছু দিন রইলেন। বেণী মাধব আর লোকনাথ। সন্যাস জীবনের বাসনা জাগে দুই সাধক পুরুষের মনে।
একদিন বাবা ত্রৈলঙ্গ স্বামীর সাথে পরিব্রাজক রূপে বেরিয়ে পড়েন, আরব, ইসরাইল, পারস্য, আফগানিস্তান, ইউরোপ। অবশেষে তারা আসেন মহা ভারতের হিমালয়ে। সম্পূর্ন অনাবৃত্ত দেহে হিমালয়ের দুর্গম পথ ভ্রমন করেছেন। তিন সাধক। কৈলাসের মানস সরোবর তুষার রাশি পেরিয়ে হেঁটে এলেন। সাইবেরিয়াতে। এখানে সূর্যালো প্রবেশ করতে পারে না। অন্ধকারময় পথ। দীর্ঘপথ হেঁটে এলেন মহা চীন দেশে। চীনের সীমান্ত পথে প্রহরীরা তাদের আটক করেন। অলৌকিক শক্তি দেখে প্রহরীরা তাদের ছেড়ে দেন।
এ মহা তীর্থ হিমালয়ের শৃঙ্গগুলো অতিক্রম কালে তিব্বত এখান থেকে বদ্রীনাথ পাহাড়ে এসে কয়েকদিন অবস্থান করেন। সেখানে বাঘিনীর বাচ্চাদের দেখাশুনা করেছিলেন শ্রী শ্রী লোকনাথ। এরপর বাঘিনীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিম্নভূমির দিকে নেমে আসেন বেণী মাধব ও লোকনাথ। বেণী মাধব চললেন কামরূপ কামাখ্যার পথে। পরে লোকনাথ চলে এলেন চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। এখানে বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী লোকনাথ বাবার ভক্ত হয়ে পড়েন।
বাবা বলতেন, আমি সারা পৃথিবী ঘুরে যা অর্জন করেছি, আমার সন্তানরা তা ঘরে বসে ভোগ করবে। বাবার সন্তানের মঙ্গলকামনায় ত্রিপুরা থেকে দাউদকান্দি এক নির্জন বৃক্ষতলায় অবস্থান করেন। উলঙ্গ পাগল বলে সবাই ধারনা করছে। কিন্তু আমরা আমাদের চর্ম চোখ দিয়ে কতটুকুই বা দেখতে পাই। দেখা আর জানা বড়ই কঠিন বিষয়। কঠিন পথের সাধক বাবা লোকনাথ তাকে জানা আরও কঠিন। বাবার কৃপায় মাত্র কয়েকজন তাকে জানতে পারেন।
ডেঙ্গু কর্মকার তাকে চিনতে পেরেছিলেন। বারদীর ডেঙ্গু কর্মকার মামলায় খালাস পেয়ে বাবার শ্রী চরণে নিজকে উৎসর্গ করেন। তিনি বাবাকে নৌকাযোগে বারদীতে নিয়ে চিমটাধারী উলঙ্গ মুর্তি দেখে বাড়ির সবাই নানা বিরূপ সমালোচনা করতে লাগে। পথে বেরুলেই ছেলেরা ধুলো-বালি ছুড়ে মারতো। বাবা কিন্তু নির্বিকার। তার কাছে মান অপমান সবই সমান। বাবা কষ্ট সহ্য করেও বিরক্ত হন নাই। আজ অনেক বড় বড় ধার্মিক রাজনৈতিক নেতা দেখা যায়। যারা কথার কাটা সহ্য করতে পারেন না। তারা কি করে মানুষের সেবা করবেন? আমার ভাবতে বড়ই অবাক লাগে। গীতার সেই কর্মজ্ঞান ভক্তি শিক্ষা দিয়েই গেছেন বাবা লোকনাথ। তিনি বলতেন, গীতাপাঠ করে গীতা হয়ে যাও। বাবা লোকনাথ ছিলেন জীবন্ত গীতা।
তিনি সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে হিমালয়ের গহীন অরণ্যে অথবা সাগরের গভীর তলদেশে কিংবা বায়ুমন্ডলে সুক্ষ্ম দেহ নিয়ে অবস্থান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বাবার কাছে শুধু মানুষ নয় সকল প্রাণী ছিল সমান। মুসলমান-হিন্দু কোন জাত ভেদ ছিল না। বারদীর বিখ্যাত জমিদার পরিবার বাবার কৃপা লাভ করে ধন্য হয়েছিল। বারদী মেঘনা নদীর তীরে শ্মশান ভূমিতেই বাবার আশ্রম কুটির। এখানে থেকে দিব্য কৃপা বর্ষিত হচ্ছে। কায়মনে বাবার কাছে যে যা প্রার্থনা করেন, তাই পান।
বাবা কাউকে কৃপা থেকে বঞ্চিত করেন না। বাবা লোকনাথ দীর্ঘ ছাব্বিশ বছর পর্যন্ত নানা লীলা করে অবশেষে ১২৯৭ সালের ১৯ জ্যৈষ্ঠ বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে ১৬০ বছরের অলৌকিক জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এদিনই বাবার তিরোধান দিবস। জয় বাবা লোকনাথ। জয় মা লোকনাথ। জয় গুরু লোকনাথ। জয় শিব লোকনাথ। জয় ব্রহ্ম লোকনাথ। এই মন্ত্র জপের মাধ্যমে আসুন সবাই বাবার কৃপা গ্রহন করি। লেখক- রণজিৎ মোদক শিক্ষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক। এন. হুসেইন রনী /জেসি
- প্রবাসীর কোটি টাকার জমি দখল নিতে মরিয়া বিএনপি নেতা নজু মাদবর
- বিসিকের ঝুট ব্যবসায় তৎপর বিএনপি নেতা সিরাজ ও জাহাঙ্গীর আলম
- মালয়েশিয়া ভ্রমণ নিয়ে যুবদল নেতা রনির মিথ্যাচার
- ছাত্রলীগ দুই ভাইয়ের ব্যবসা বুঝে নিতে মালয়েশিয়া যুবদল নেতা রনি
- কুতুবপুরের মূর্তিমান আতঙ্ক ভূমিদস্যু নজু মাদবর
- না.গঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নবায়ন সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি
- আ.লীগের অফিস ভেঙে বিএনপির অফিস বানানোর ঘোষণা
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন
- ফতুল্লায় ২৯০ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ
- মেঘনা নদীর মাছের ঘের সরানোর সাতদিনের সময় বেধে দিলেন ইউএনও
- ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রাখলে নেতিবাচক করানো সম্ভব হবেনা
- জিয়া যে চেতনার অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করেছেন তা আজও অম্লান: সাদরিল
- বিএনপি নেতা শহিদ হোসেনের নেতৃত্বে মিছিল
- পাঁচ ইঞ্চি ইটের দেয়ালের উপরে দোতলা বাড়ি, ঝুঁকিতে এলাকাবাসী
- হাসপাতালগুলোর পরিবেশ নাজুক, নেই যথাযথ চিকিৎসা সেবা: গণসংহতি
- সাংবাদিকদের মাঝে ঐক্যের বিকল্প নেই : বিটু
- জুট এসোসিয়েশনের ৫৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- জিয়া সৈনিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পরিচিতি সভা
- অস্থিরতা ঠেকাতে প্রস্তুত ইসলামী দলগুলো
- বিসিকের বড় ১০৮ গার্মেন্টসের ঝুট হাতেমের টোকেনে
- চিন্ময় কৃষ্ণসহ ইসকনের ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- চাষাঢ়ায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি
- কমিটি পেলেই সবাই চুপ
- ডিস ব্যবসায়ীদের জিকু খানের হুমকি
- বিকেএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ থেকে দুই জনের পদত্যাগ
- বিএনপির জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাবে একমত জামায়াত
- সাড়ে ৪ মাসেও শুরু হয়নি পাসপোর্ট অফিসের সংস্কার কাজ
- বক্তাবলী গণহত্যা ইতিহাসের নির্মম পদাবলী
- অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনে ‘ইন্ধন’ দেখছে সেনাবাহিনী
- নগরীর রেল ক্রসিংগুলো ঝুঁকিপূর্ণ
- আমেরিকায় পালালেন মীর সোহেল
- বিসিকের বড় ১০৮ গার্মেন্টসের ঝুট হাতেমের টোকেনে
- বহু অপকর্মের হোতা সাংবাদিক রাজুর ব্যাংক হিসাব জব্দ
- ছাত্রলীগ দুই ভাইয়ের ব্যবসা বুঝে নিতে মালয়েশিয়া যুবদল নেতা রনি
- বিকেএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ থেকে দুই জনের পদত্যাগ
- প্রকাশ্যে আ.লীগ নেতারা
- নয়া মুসিবত রেজা রিপনের অনুমোদন বিহীন আসিয়ান
- আ.লীগের অফিস ভেঙে বিএনপির অফিস বানানোর ঘোষণা
- লাখ টাকার প্রলোভনে পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা
- কমিটি পেলেই সবাই চুপ
- হোসিয়ারী নির্বাচন নিয়ে নীল নকশা
- ডিস ব্যবসায়ীদের জিকু খানের হুমকি
- ‘বৈধ-অবৈধ মিলাইয়াই আমগো দেশ’
- অস্থিরতা ঠেকাতে প্রস্তুত ইসলামী দলগুলো
- কুতুবপুরের মূর্তিমান আতঙ্ক ভূমিদস্যু নজু মাদবর
- হোসিয়ারী সমিতিতে একক আধিপত্য চান সাবেক সভাপতি বদু
- চিন্ময় কৃষ্ণসহ ইসকনের ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের সাথে বন্দর থানা কৃষকদলের শুভেচ্ছা
- ওসমান দোসরদের বাদ দেয়ার আহ্বান ব্যবসায়ীদের
- নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সৃষ্ট ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা প্রত্যাহার
- শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত
- হজ থেকে ফিরে হাজীদের কিছু আমল
- ইজতেমা আয়োজনকে নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা
- আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না
- ১০ মহরম ও আশুরা উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
- লাইলাতুল কদরের নামায আদায়ের নিয়ম
- লাঙ্গলবন্দ স্নান এবং নদের উৎপত্তির ইতিহাস
- নামাজে রিং বেজে উঠলে করনীয় !
- উপমহাদেশের প্রথম হাদিসচর্চা কেন্দ্র সোনারগাঁয়ে
- রমজানের নতুন চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবী
- ধর্মীয় চেতনার প্রতীক কদম রসুল দরগাহ
- মক্কা-মদিনার নতুন খতিব ও ইমাম
- আগামীকাল রাতে পবিত্র শবে মিরাজ
- আজ বড়দিন উৎসব
- রাস উৎসবের ইতিবৃত্ত