বুধবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৪ ১৪৩১

বিজয় দিবসে দেখা নেই দাপুটে নেতাদের

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪  

 বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসে মর্যাদাপূর্ণ বিজয় দিবস ১৬ বছর যাবৎ পালন করে আসছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু নির্মম পরিহাস বাস্তবতার পরিক্রমায় আজকে তারা মাঠে নেই। তাদেরকে এখন ফেরারি আসামী হয়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এমনকি এদিনটি সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করায় গত ৮ আগষ্ট অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনুস। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারা যে ভাবে হাক ডাক দিয়ে বিশাল লোক নিয়ে বিজয় দিবস পালন করেছে তা এখন নেই। অথচ গত বছরও নারায়ণগঞ্জে এই দলটির নেতাকর্মীরা কে কার থেকে বেশি লোক নিয়ে প্রতিযোগিতা করেছে তা এক নিমেষেই শেষ হয়ে গেল।


এদিকে গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আয়োজনের বেলায় শুন্য। বিশেষ করে জেলার প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান সহ তার সাম্রাজ্যের লোকজন তার পালিয়ে রয়েছে। যারাই সামনে আসছে তারাই গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু শামীম ওসমান সহ তার সাম্রাজ্যের সকলেই বলে বেড়াতেন তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধাণ  করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। কিন্তু তারা এখন কোথায় গেলেন?


ওসমান সাম্রাজ্যের হেভিওয়েট নেতারা বড় বড় কথা বলে আজকে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মাঝে শামীম ওসমানের অন্যতম সিপাহসালার সেনাপতি মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, তার ভাগিনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, সকল অপকর্মের হোতা ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাউফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা আওয়ামী লীগ নেতা আবু মো. শরীফুল হক, সিদ্ধিরগঞ্জ  থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইয়াছিন মিয়া। শহর শ্রমিকলীগের সাবেক সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাবেক সেক্রেটারি হসানাত রহমান বিন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম রাফেল, নাসিক প্যানেল মেয়র আদুল করিম বাবু, শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিট, দুঃসম্পর্কের শ্যালক এহসানুল হাসান নিপু। তারা প্রত্যেকেই ওসমান সাম্রাজ্যের এক একজন কেউ সেনাপতি আবার কেউ সৈনিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে ওসমান লীগকে প্রধান্য দিতেন। আজকে যখন ওসমারা তাদের রেখে পালিয়ে গেছে তারাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে।


অপরদিকে আজ ১৬ ডিসেম্বর দেশের সর্বস্তরের মানুষ বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রাদ্ধাঞ্জলী জানালেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখা নেই। অথচ অন্যান্য সময় আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের কার্যালয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পাশাপাশি দোয়ার আয়োজন করতেন। কিন্তু বিজয় দিবসে তাদের সেই আয়োজন আর এখন নেই।

এই বিভাগের আরো খবর