রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের মাঝে দাম বাড়ানোর খবরে জনমনে উদ্বেগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩  



# কারখানার মালিকরাও চরম সংকটে


একদিকে দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য হাহাকার বিরাজ করছে তার উপর সরকার আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিও চেষ্ঠা করছে বলে খবর বেরিয়েছে। জানা গেছে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল বিভিন্ন মাধ্যমে এ খবর প্রচার হওয়ার পর সাধারন মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। সর্বত্র উদ্বেগউৎকন্ঠা ছড়িয়ে পরেছে।

 

 

একদিকে মানুষ রান্না করার গ্যাস পাচ্ছে না, তার উপর আবারও দাম বাড়ানোর পায়তারা চলছে। এতে দেশের সাধারন মানুষের কোনো আয় বাড়ছে না বরং ক্রমাগত ব্যায় বেড়ে চলেছে। তাই আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবরে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পরেছে।

 


এদিকে নারায়ণগঞ্জে আবারও গ্যাস ও বিদ্যুতের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসে আবারও প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া আাসা করছে। লোডশেডিং হচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায়। এতে এই প্রচন্ড গরমে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে মানুষ। ঘরে ঘরে রাতে ঘুমাতে পারছে না সাধারন মানুষ।

 

 

বিশেষ করে যে সকল ঘরে ছোটো শিশুরা রয়েছে সেই সকল ঘরে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে পিতামাতারা। প্রচন্ড গরমে ঘরে ঘরে অসুস্থ্য হয়ে পরেছে বহু মানুষ। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে সাধারন মানুষ জানিয়েছে এ বছর এতোটাই গরম পরেছে যে যখন বিদ্যুৎ থাকে না তখন ঘরে ঘরে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়।

 

 

টানা গরমে চরম অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া সম্প্রতি এতো বেশি লোডশেডিং হচ্ছে যে যাদের ঘরে বা প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর বা আইপিএস আছে এসবেও কুলোচ্ছে না। এ বিষয়ে মাসদাইর বাজার এলাকার রামজান আলী বলেন আজকাল রাতে একেবারেই ঘুম হচ্ছে না। কারন প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেতো পরের ঘন্টা থাকে না। এতে মোটেও ঘুমানো সম্ভব হয় না। বরং গরমে সারা রাতই হাঁসফাঁস করতে হয়। এতো এতো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা শুনলাম অথচ লোডশেডিংই কমছে না।

 


এদিকে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র বিদ্যুতের অভাবে কলকারখানায়ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কারখানাগুলি জেনারেটরে চলছে। কিন্তু জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জেনারেটর চালানোর খরচ আগের তুলনায় বহুগুন বেড়ে গেছে। বিশেষ কওে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারনে কারখানার মালিকদেরকে চরম সংকটে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিলকারখানর মালিকরা।

 


অপরদিকে বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি বিগত প্রায় এক মাস ধরে চরম গ্যাস সংকটও বিরাজ করছে সারা নারায়ণগঞ্জে। এতে ঘরে ঘরে খাবার রান্না করতে পারছে না গৃহিনীরা। অনেকে অভিযোগ করেছেন পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে যে সারা দিন এক ফোঁটা গ্যাসও থাকে না।

 

 

কোনো কোনো এলাকায় মাঝ রাতে গ্যাস আসলেও ভোর পাঁচটার আগেই আবার গ্যাস চলে যায়। তাই গ্যাসের অভাবে কঠিন পরিস্থিতির মাঝে দিন কাটাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের মানুষ। ফলে গ্যাস বিদ্যুতের অভাবে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর