বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

বিসিকের ঝুট ব্যবসায় তৎপর বিএনপি নেতা সিরাজ ও জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪  

পট পরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিকের শিল্প-কারখানাগুলোর ঝুট সেক্টরসহ সুতার কোন, কার্টুনসহ বিভিন্ন ওয়েস্টেজ পণ্যের ব্যবসা যেগুলো আওয়ামী লীগের ওসমানদের দখলমুক্ত হলে সে সব শিল্প-কারখানাগুলোতে নয়া দখল নেয় যুবদলের এক প্রভাবশালী নেতার লোকজন। কাইল্লা রহমতের দীর্ঘদিনের সহযোগী শাহ আলম, জাহাঙ্গীর ওরফে ভাঙ্গা ক্লাবের বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর, এনায়েতনগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ওরফে পাইলিং সিরাজ। 

 

সূত্র জানিয়েছে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আজমেরী ওসমানের চিহ্নিত ঝুট সন্ত্রাসী কাইল্লা রকমতের নেতৃত্বে বিভিন্ন র্শিপ প্রতিষ্ঠান থেকে ঝুট নিয়ন্ত্রণ করতেন যুবদলের নেতার শেল্টার পাওয়া এই নেতাকর্মীরা। এরা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে তাদের দলীয় সন্ত্রাসীরা শিল্প-কারখানাগুলোতে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সব সেক্টর দখল ও চাঁদাবাজি করত। কিন্তু পট পরিবর্তনের সব পালিয়ে গেলে এখন বিএনপির নামে বিসিক দখলে নিয়েছে। জানা গেছে, এ দিকে ফতুল্লা বিসিকে বড়, মাঝারি ও ছোট মিলিয়ে প্রায় ৫০০ তৈরি পোশাক ও নিটিং কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে বড় রয়েছে ১০৮টি। এর মধ্যে বেশির ভাগই সেই যুবদলের লোকজনের দখলে রয়েছে (বিকেএমইএ) এর এক প্রভাবশালী নেতার বদৌলতে। যার মধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপি শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক জাঙ্গাঙ্গীর ও এনায়েতনগর ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজের দখলে রয়েছে প্রায় ১০টির অধিক গার্মেন্টস ও বেশ কয়েকটি নিটিং। তারা বর্তমানে আরো দখলে নেওয়ার পায়তারায় মগ্ন হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বিএনপির কিছু লোকেরা গার্মেন্টস থেকে ঝুটসহ অন্যান্য পণ্য কারখানা থেকে বিনা মূল্যে বা নামমাত্র দামে নিয়ে যাচ্ছে সেই বিগত দিনের মতোই।


সূত্র মতে জানা গেছে, ফতুল্লার বিসিক এলাকায় ঝুট ব্যবসার মূল নিয়ন্ত্রক হিসেবে ঘুরেফিরে হাতেমের নামটিই ব্যবহার করেন নানাজন। সরকার পতনের পরও গোটা ফতুল্লায় ঝুট ব্যবসার প্রচ্ছন্ন নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করা হাতেমের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেন এই জাহাঙ্গীর।  আরো জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রমিক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কাইল্লা রহমতের বড় ভাই এনায়েত নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কন্ট্রাক্টরের মেয়ের জামাই শাহ আলম ওরফে ঝুট শাহ আলম, এনায়েতনগর ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পাইলিং সিরাজ, আওয়ামী লীগের নামধারী নেতা শহীদ ওরফে বরিশাইল্লা শহীদ ও জাহাঙ্গীর ওরফে বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর, কাইল্লা রকমতের বিয়াই হওয়ার সুবাদে বিগিত দিনের মতোই সেই কথিত যুবদল নেতার শেল্টারে পুনরায় বিসিকের ঝুট সেক্টর দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কে বেকায়দায় ফেলতে এবং গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য উল্লেখিত ঝুট সন্ত্রাসীরা একের পর এক অঘটন ঘটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

 

 এদিকে জানা গেছে, বর্তমানে এনায়েতনগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের নামে দেওয়া হয়েছে ৭টি গার্মেন্টসের ঝুটসহ সকল সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করার টোকেন এসেছে সেই যুবদল নেতার হাত ধরেই সেগুলো হলো- এবি এফ গার্মেন্টস, খাতুনসহ আরো বেশ কয়েকটি। এদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপি সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মোহাম্মদ হাতেমের এবি গার্মেন্টসের ঝুট ও ওয়েস্টিজ মালামাল নিয়ন্ত্রণে করেন এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি। জানা গেছে, গত ৫ আগষ্টের পর ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নিতে বিসিকে বেশ কয়েকবার মহড়া দিয়েছেন মালিকপক্ষের লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এদিকে ঝুট নিয়ে গত ২৯ আগষ্ট বিসিকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছিলেন অনেকেই। আর এই সংঘর্ষের মূলহোতা হিসেবে ছিলেন সেই যুবদল নেতা আর মাঠের ভূমিকায় ছিলেন সিরাজ ও জাহাঙ্গীর বাহিনী।


এ বিষয়ে জানতে এনায়েতনগর ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির মুঠোফানে একাধিক কল করলে ও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এই বিভাগের আরো খবর