সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বেড়েছে বাড়িভাড়া ভাড়াটিয়ারা দিশেহারা

হাসিবা নিঝুম

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২৩  

 

বাড়িভাড়া বৃদ্ধির চাপ নিয়েই নতুন বছর শুরু করতে হয় ভাড়াটিয়াদের। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন বৃদ্ধি না হলেও প্রতিবছর বাড়িভাড়া বৃদ্ধি থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউ। এ অবস্থা নারায়ণগঞ্জ শহরের সব জায়গার ভাড়াটিয়াদের। ডিসেম্বর মাস এলেই বাড়িভাড়ার বৃদ্ধির চাপে আতঙ্কে থাকেন ভাড়াটিয়ারা। ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাড়তি ভাড়ার নোটিশ জানিয়ে দেন বাড়ির মালিকরা এবং তা কার্যকর শুরু হতে থাকে জানুয়ারি মাস থেকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

 

পাইপাড়ার শাহাবুদ্দিন মিয়ার বাড়ির এক ভাড়াটিয়া জানান, বাড়িভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ করতে চাইলে বাড়িওয়ালা সাথে সাথে জানিয়ে দেন, পোষাইলে থাকেন আর না পোষাইলে চলে যান। ঘর ছেড়ে দিলে পরের মাসে ঠিকই ভাড়াটিয়া পাওয়া যাবে। এমনকি, বাসায় মেহমান এলে বাড়িওয়ালা সহজে নিতে চান না। ভাড়াটিয়াদের এমন বিড়ম্বনা ও হয়রানির কোন শেষ নেই।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের নিতাইগঞ্জ, নলুয়াপাড়া, পাইকপাড়া, বাবুরাইল, জল্লারপাড়, দেওভোগ, ভূইয়াপাড়া, নন্দীপাড়া, পালপাড়া, গলাচিপা, মাসদাইর, চাষাড়া ও আমলাপাড়াসহ পুরো নারায়ণগঞ্জে বাড়িভাড়া বেড়েছে। তবে বন্দরে বাড়িভাড়া কিছুটা কম হলেও সিদ্ধিরগঞ্জ, পঞ্চবটি ও ফতুল্লা এসব জায়গায় বাড়িভাড়ার চাপ পোহাতে হয় ভাড়াটিয়াদের। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও বাড়িভাড়া বাড়ানো হচ্ছে।

 

ওপরদিকে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে গত কয়েক বছরে সব শ্রেণির বাড়ির ভাড়া বেড়েছে। তবে অন্যদের তুলনায় নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি। ফলে যারা টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন তাদের ওপর চাপ বেশি পড়ছে। কারণ গত কয়েক বছরে নারায়ণগঞ্জের টিনশেড বাড়ির ভাড়া বেশি বেড়েছে। এমনকি বাড়িভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। তারা জানায় কয়েক বছর আগেও দুই আড়াইহাজার টাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে ৪/৫ জন শিক্ষার্থী মিলে মেসে থাকতে পারতাম, জনপ্রতি মাসে ৫০০ টাকা দিতে হতো। কিন্তু এখন মেসে  থাকতে হলে জনপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা গুনতে হয়।

 

পুনরায় আল সাবা এলাকায় কিছু ভাড়াটিয়াদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগের বছরের তুলনায় এবছর প্রতি ফ্লাটে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বাসা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এমনকি যেসব বাসায় কারেন্ট বিল নেওয়া হতো না, সেসব বাসায় এবছর কারেন্ট বিলসহ আরো নানা বিল আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর