রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বৈষম্যকে দূর করে ঈদে এমপি খোকার ব্যতিক্রম উদ্যোগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৩  


গরিব-অসচ্ছলদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে  ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে  জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব  এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। পহেলা রমজান থেকেই এতিম, অসহায় গরীব দুস্থদের মাঝে নিজ হাতে ইফতার বিতরণ করছেন তিনি।

 

 

শুধু তাই নয় রোজার শেষে ঈদের আনন্দে যাতে কমতি না আসে তাই অসহায়-গরীবদের পাশাপাশি, এতিম ও সমাজের সংখ্যালঘু শ্রেনী হিজরা সম্প্রদায়ের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন এমপি খোকা। তার এই অনন্য উদ্যোগে যেমন খুশি হয়েছে অসহায়-গরীবরা, তেমনই নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রসংশার পাত্র হয়ে দাড়িয়েছেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। 

 

 

সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া ‘লিজা পাম্প’ এর ভেতরে প্রতিদিন নিজ হাতে ইফতার মুখে তুলে দেন লিয়াকত হোসেন খোকা। তার এই প্রতিদিনের ইফতারের আয়োজনে যুক্ত হয় পথশিশু, এতিম, অসহায় দুস্থ মানুষ। নিজ হাতে কর্মীদের সহায়তায় ইফতারে খাবার তুলে দেন তিনি। এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত সমাজের তৃতীয় লিঙ্গ ‘হিজড়া’ সম্প্রদয়কে ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন তিনি। ইচ্ছে অনুযায়ী পোশাকও উপহার দেয়া হয়। 

 

 

মা-বাবা ছাড়া বেড়ে উঠা এতিম সন্তানদের প্রতি রয়েছে এমপি খোকার এক ভিন্ন রকম ভালোবাসা। নিজের কণ্যা সন্তানের জন্মদিন থেকে শুরু করে যে কোন সামাজিক, ধর্মীয় ও পারিবারিক উৎসব এতিমদের নিয়ে পালন করেন তিনি। এদিকে, মঙ্গলবার(১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ আমলাপাড়া নিজ বাসায় দাওয়াত করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও এতিম বাচ্চাদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন এমপি খোকা। 

 

 

‘পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবে এবারের ঈদ হয়ে উঠুক আরো প্রাণোচ্ছল ও উপভোগ্য ‘ এই প্রতিপাদ্যে মাদ্রাসার দরিদ্র ও এতিম শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করে তাদের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেন। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিত্তবানদের এই ঈদে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান। 

 

 

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব  এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, মুসলিম বিশ্ব সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর। রমজানের দীর্ঘ একমাস কঠোর সিয়াম সাধনার পর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে নেক বান্দাদের জন্য ঈদুল ফিতর হলো পুরস্কারস্বরূপ। তাই শাওয়ালের চাঁদ আমাদের মাঝে নিয়ে আসে খুশি ও আনন্দের ফল্গুধারা।

 

 

পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচুর ভেদাভেদ ভুলে সব মানুষকে এক কাতারে দাঁড়ানোর শিক্ষা দান করে। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে। এ দিন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- এ প্রত্যাশা করি। 

 

 

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে দুঃস্থ, দরিদ্র ও সঙ্গতিহীন মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমাজের বিত্তবান শ্রেনীর জনগণ ঈদের এই আনন্দকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেবেন।  ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমন্ডুকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

 

ভয়াবহ করোনা মহামারির মধ্যেই বিগত দুটি ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হয়েছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল মানুষের জীবন ও জীবিকা। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কমে এসেছে। জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।  এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর