বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

ব্যানার-বিলবোর্ডে আমার ছবি যুক্ত করবেননা : মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  


কোনো ভালো মানুষ যেন মামলায় হয়রানি শিকার না হোন সেদিকে নেতাকর্মীকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। একই সঙ্গে নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড, ব্যানার যত্রতত্র টানাতে কড়া ভাষায় নিষেধ করেছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, বড় বড় বিলবোর্ডে আমার ছবি লাগিয়ে অনেকে বুঝাতে চায় তিনি আমার লোক।

 

 

অনেক বড় নেতা। এসব করে মানুষের কাছে নিজের পরিচিত বাড়িয়ে প্রভাব বিস্তার করার একরকম কৌশল করেন এসব নেতারা। আমি তাদেরকে বলবো, আজকের পর থেকে কোনো বিলবোর্ড ব্যানারে আমার ছবি যুক্ত করবেন না।

 


২ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ গিয়াসউদ্দিন মডেল কলেজে ফতুল্লা থানা ও এর অন্তর্ভূক্ত ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে ওই কথা বলেন তিনি।

 


গিয়াসাউদ্দিন নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আজকের পর থেকে কেউ কোথাও ‘আমাকে এমপি প্রার্থী’ হিসেবে উল্লেখ করবেন না। এতে করে দলের ভিতরেই বিভেদ সৃষ্টি হয়। আমি মনে করি আমার থেকে অনেক যোগ্য ব্যক্তি এখানে আরও অনেক রয়েছেন। তাছাড়া আল্লাহ ভালো জানেন কে আগামীতে প্রার্থী হবেন, কে এমপি হবেন। সুতরাং আগাম এসব বলে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।

 


তিনি সবাইকে ভালো হবার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন মানুষ দেখেছে। তাদের সন্ত্রাস চাঁদাবাজি, লুটপাটে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। এখন আপনারাও যদি তেমন করেন তাহলে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কোথায়? এসব যদি আপনারাও করেন তাহলে মানুষের কাছে ভুল মেসেজ যাবে। দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আপনার আমার কোনো অধিকার নেই দলের ক্ষতি করার। সন্ত্রাসী করে অঢেল ধনসম্পদ কামাবেন এমন চিন্তা যদি মাথায় থেকে থাকে তা পরিত্যাগ করুন। মানুষের কাছে যান। মানুষের মন জয় করুন।

 


চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা গঠন করার জন্য সকল নেতাকর্মীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিচার আইনের মাধ্যমে হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নই। কিন্তু মানুষ যত অপরাধি হোক তার শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ কেন করতে হবে? এটা কোনোভাবেই করা যাবে না।

 

 

কেননা, ওই ব্যক্তি যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন তা জনগণের টাকায়। ব্যাংকের ঋণ নিয়ে। এসব প্রতিষ্ঠান দেশের সম্পদ। দেশের সম্পদ নষ্ট করা যাবে না। মানুষকে ব্যাকার করা যাবে না। আপনারা শিল্প মালিকদের আশ্বস্ত করুন। ভয় ঢুকাবেন না। তাদের জানান, আপনারা তাদের পাশে আছেন। কোনো চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী এলে তাদের সঙ্গে থেকে এসব প্রতিহত, প্রতিরোধ করুন। তাদেরকে ভরসা দিন। তারা যেন আপনাদের ভয় না পায়।

 


গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, অনেকেই বলে বেড়াচ্ছেন আমার পদ খেয়ে দিবেন। আমাকে মাইনাস করে দিবেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দলের প্রয়োজনে আমি গিয়াসউদ্দিন সভাপতি হয়েছি। এখনও পর্যন্ত সভাপতি আছি। দল যদি মনে করে আমাকে প্রয়োজন নেই, তাহলে আমার স্থানে অন্যকেউ আসবে। কিন্তু আপনারা সাবধান হয়ে যান। আমি তো খেলেছি শামীম ওসমানের সঙ্গে।

 

 

তার মতো সর্বশ্রেষ্ঠ গডফাদারের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছি। আর আপনারা আমার কাছে হলেন চুনোপুটি। সুতরাং বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না। দলের জন্য কাজ করুন। মানুষের কল্যাণে কাজ করুন।

 


এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খোন্দকার মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আক্তার হোসেন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমুন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা বিপ্লব, ফতুল্লা থানা কৃষকদলের আহ্বায়ক আমির হোসেন প্রমূখ।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর