মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল এক সেলাই ১০০ টাকা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

নগরবাসী একমাত্র জরুরী চিকিৎসালয় ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে প্রতিদিন জরুরি সেবা দেয়া হয় হাজারো মানুষকে। এ হাসপাতালে কাটা ছেড়া রোগীদের চাপ থাকে সবচেয়ে বেশী। তবে সেলাই কিনবা ইনজেকশন যাই হোক সেবা দেয়ার পর স্টাফদের দিয়ে হয় টাকা এমন অভিযোগ অসংখ্য রোগীদের। তবে হাসপাতালের কৃর্তপক্ষ বলছে তারা কিছুই জানেন না।

 

রোগীদের অভিযোগ, শহরের খানপুর ৩০০শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নির্ধারিত হওয়ায় বর্তমানে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে দ্বিগুন রোগীর চাপ বেড়েছে। নানা সমস্যা নিয়ে রোগীরা ছুটে যান এ হাসপাতালে। তবে সেখানে কাটা ছেড়া রোগীদের সেলাই করানোর পর টাকা দিতে হয় স্টাফদের। ইনজেকশন দিলেও টাকা দিতে হয়। রোগী প্রাথমিক সময়ের জন্য ভর্তি করা হলেও ফেরার পথে টাকা দিয়ে আসতে হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সেবা মানেই টাকার ছড়াছুটি।

 

রোগীদের আরও অভিযোগ, যদি একটি সেলাই অথবা ইনজেকশনও দেয়া হয় তাহলেও হাসপাতালের স্টাফদের কম করে হলেও ১০০ টাকা দিতে হয়। কার এর নীচে তারা নেন না। এভাবে চলছে র্দীঘ দিন ধরে। এদিকে হাসপাতালের ভর্হি বিভাগে সেবা নিতে যাওয়া রোগীদের পড়তে হয় আরও বিপাকে। সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন পার  করে দেখা মিলে চিকিৎসকের। এরপর ডাক্তারের কক্ষ থেকে বের হলে বিভিন্ন ফার্মেসীর দোকানের দালালদের কবলে পড়তে হয় রোগীদের। অনেক রোগীকে এক প্রকার জোড় করে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের দোকানগুলো।

 

এছাড়াও ওষুধ কোম্পানির এজেন্ট তো আছেই। কোন রোগী চিকিৎসকের সাথে দেখা করে বের হলেই এজেন্টরা প্রেসক্রিপশন ছবি তুলতে তাদের বিরুক্ত করেন। তাছাড়া বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পেরিত দালালরা সব সময় হাসপাতালে অববস্থান করে। তারা রোগীরদের টানাটানি করার অভিযোগ রয়েছে। জরুরি বিভাগ ও বর্হি বিভাগের একাধিক রোগী জানান, ডাক্তারের কক্ষ থেকেই রোগীদের ধরিয়ে দেয়া হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের টিকেট। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রায় বিভিন্ন রোগীদের ভীড় থাকে সব সময়। এর মধ্যে কাটা ছেড়া রোগীর সংখ্যা বেশি। ডাক্তারের কক্ষের সামনে গেলে দেখা মিলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজনের। তারা রোগীদের নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রোগীদের।  

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি জানান, যদি সুনিদিষ্ট ভাবে কারো নামে অভিযোগ থাকে তাহলে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো এবং এ বিষয়ে আরও নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
 

এই বিভাগের আরো খবর