খেলাধূলা ডেস্ক (যুগের চিন্তা ২৪) : আঙুলের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন সাকিব। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি এতটা বিপদে পড়তে হবে তাঁকে। দেশে ফেরার পর আঙুলের ব্যথা বেড়ে গিয়েছিল, জায়গাটা অস্বাভাবিক ফুলেও যায়। দ্রুতই অস্ত্রোপচার করে বিপদের হাত থেকে আপাতত রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
আঙুলের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় আমিরাত থেকে এরই মধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন সাকিব আল হাসান। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেননি তিনি। কিন্তু দেশে ফেরার পর আঙুলের ব্যথা বিপদের কারণ হয়েছিল তাঁর। আজ ফেসবুকে নিজেই জানিয়েছেন, দেশে ফেরার পর আঙুলের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচার করে বিপদের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন তিনি।
সাকিব লিখেছেন, ‘হাতের ব্যাথায় যখন দল ছেড়ে দেশে ফিরছি তখনও বুঝতে পারিনি এত খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে।
দেশে আসার পর প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব ও হাত অস্বাভাবিক রকম ফুলে যাওয়ায় দ্রুত হসপিটালে এডমিট হয়ে একটি সার্জারী করাতে হয়েছে। আংগুলের ভেতর ইনফেকশনের ফলে ৬০-৭০ সে: মি: পুঁজ বের করতে হয়েছে।
আপনাদের দোয়াই খুব অল্পের জন্য বড় ধরণের বিপদ থেকে এই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি তবে দ্রুতই আরও একটি সার্জারী করাতে হবে।
আপনাদের সকলের দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। ধন্যবাদ..
গত জানুয়ারিতে ঢাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের দিন ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। মার্চে শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফির আগে দলে ফেরেন। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। আঙুলের চোট নিয়েই খেলেছেন নিদাহাস ট্রফি, গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। এশিয়া কাপে সেই চোট নিয়েই খেলেছেন তিনটি ম্যাচ। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে চোটের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে। সাকিবকে ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। সে ম্যাচ জিতেই ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আজ ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে সাকিবের অভাবটা বাজেভাবেই অনুভূত হচ্ছে।