সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ভ্যাপসা গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া জ্বর-সর্দি-কাশি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২  

 

গত কয়েক দিনের টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কড়া রোদ, সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে নারায়ণগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বর সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।

 

গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। জেনারেল হাসপাতালের বহি.বিভাগ, ডায়রিয়া ও জেনারেল ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশু, নারী, যুবক, বয়োজ্যেষ্ঠরা ছুটছেন হাসপাতালে। জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের বহি.বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভীড়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ডায়রিয়া ও বমি নিয়ে রোগী ভর্তি। অন্যান্য ওয়ার্ডে জ¦র, সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

 

জেনারেল হাসপাতালের সূত্রমতে, গত ১১ জুলাই থেকে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে নতুন করে ২৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে গড়ে ৩৫-৪০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও বহিঃবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন কয়েক শতাধিক।  

 

হাসপাতালে আগত রোগীরা জানান, বর্ষা মৌসুমে এতো রোদ-গরম তারা আগে দেখেন নি। তার সঙ্গে লোডশেডিং আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা। অতিরিক্ত গরমের কারণে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।  ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে এক অভিভাবক বলেন, আমার সন্তানের বেশ কিছু দিন ধরে ডায়রিয়া, বমি ও সঙ্গে জ্বর ছিল। রোববার রাতে অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় এখানে চিকিৎসার জন্য এসেছেন।

 

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস কে ফরহাদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে জ¦র-ঠান্ডা সহ ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে ডায়রিয়া ছাড়াও গরম ও ঠান্ডাজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নবজাতক শিশুসহ সকল বয়সের মানুষ। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। বাড়তি রোগীদের চিকিৎসার স্বার্থে আমাদের হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় স্যালাইন সহ অন্যান্য ঔষধ।

 

তিনি সতকর্তা মূলক পরামর্শ দিয়ে বলেন, গরমে বেশি বেশি পানি পান জরুরি। কিন্তু ফুটপাতের পাশের খোলা শরবত বা অন্য কোনো কোমল পানি পান করলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে পানির স্বল্পতা দেখা দেয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীকে বার বার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। অধিকাংশ ডায়রিয়া রোগীর ওষুধ প্রয়োজন পড়ে না। তবে সকলকে বিশুদ্ধ ও ফুটিয়ে পানি পান করতে হবে। সকলের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরী করতে হবে।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর