রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মশায় অতিষ্ঠ কাশিপুরবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৩  


বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তি থাকলেও মশা নিধনের নেই কোনো কার্যকর ভুমিকা। নারায়ণগঞ্জ কাশিপুর ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে মশা যেন এক আতংকের নাম হয়ে দাড়িয়েছে। কোনো ভাবেই মশার উৎপাত থেকে রক্ষা নেই জন সাধারনের।

 

 

সিটি কর্পোরেশনের এলাকা গুলোতে নিয়মিত হ্যান্ড স্প্রে ও ফগার স্প্রে ব্যবহার করে মশার উৎপাত কমানোর কার্যক্রম চালু থাকলেও, কাশিপুর এলাকায় কোথাও নেই মশা নিধনের কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মশা নিধনের কাযক্রমে যথারীতি উদাসীন কাশিপুর ইনিয়ন পরিষদ।

 


গত বছরের এই সময় মশার উপদ্রব কম থাকলেও এবছর মশার উপদ্রব এখনো কমেনি। ফলে এলাকাবাসী মশার উৎপাতে অতিষ্ট। সন্ধা নামার সাথে সাথে মশার উৎপাতবারে মাত্রাতিরিক্ত। দিনের বেলায়ও মশার বেশ আনাগোনা থাকে বলে জানা যায়। কয়েল জ্বালিয়ে, মশা নিধনের ওষুধ ছিটিয়ে, মশারি টানিয়ে মশার উপদ্রব থেকে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে মানুষ।

 

 

ঘরে-বাইরে, দোকানপাঠ, বাজার, এমনকি রাস্তাঘাটেও মশার উৎপাত থেকে রেহাই মিলছে না। দিনের বেলায় মশা একটু কম থাকলেও বিকালের পর থেকে রাত পর্যন্ত মশার অত্যাচার তুলনা মূলক ভাবেই অনেক বাড়তি থাকে।

 


খালের দূষিত পানি,  রাস্তার পাশে ভাঙ্গা ও খোলা ড্রেন, এবং বিভিন্ন জায়গায় ময়লার স্তুপে জমে থাকা দূষিত পানি থেকে এই মশার উপদ্রব বাড়ে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এসব ময়লা পরিষ্কারেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয় না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব ভাঙ্গা ও খোলা ড্রেন সংস্কারে কথা মেম্বর দের জানানোর পরেও কোনো প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করেননি কেউ। এসব ভাঙ্গা ড্রেনের কারণে আরো নানা রকম ভোগান্তিতে পড়েন কাশীপুর ইউনিয়ন বাসী।

 


কাশিপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনাব হানিফ জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে যতখন সময় থাকিনা কেন একটি কয়েল জালিয়ে রাখতেই হয়। না হলে এখানে বসার মতো কোনো পরিস্থিতি থাকে না। আর এখানে কখনো মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। আমি সকাল থেকে  এখানেই থাকি কোনো দিন আমার চোখে পড়ে না। কখনো কাউকে কিছু বলতে দেখিনি এই বিষয়। তাই নিজের জীবনের সুরক্ষা নিজেই করি।

 


এই ওয়ার্ডের আর এক বাসিন্দা নাফিজা বলেন, বর্তমানে আবহাওায় সারাক্ষণ ফ্যান চালু রাখা যায়না। আর ফ্যান বন্ধ করলে মশার জন্য বাসায় টিকে থাকা ও দায় হয়ে পড়ে। মশার কয়েল জালালেও মশা যায় না। সারাক্ষন বাচ্চাদের জন্য মশারি দিয়ে রাখা লাগে। অসুবিধা হলেও নিজের জীবনের জন্য এই কাজ ছাড়া আর কোনো উপায় নাই । বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নাগালের বাইরে।

 


 এই ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা দের সাথে কথা বলে জানা জায়, মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম চালু নেই। আমাদের এই মশার কারণে নানা রকমের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। স্বাচ্ছন্দ মতো ঘরে বাইরে কোথাও বসতে পারি না। বাচ্চা দের জন্য আরো সমস্যা। কারেন্ট থাকলে যাও ঘরে একটু থাকা যায়। যদি তাও না থাকে বাসায় থাকা মুশকিল হয়ে যায়।

 


এবিষয় নারায়ণগঞ্জ কাশিপুর ইউনিয়নের ইউপি সচিব আওলাদ হোসেন যুগের চিন্তাকে জানান, বর্তমানে আমাদের ইউনিয়নে এরকম কোনো কার্যক্রমচালু নেই। উপজেলা থেকে আমাদের যে ওষধ দেওয়া হয়েছে, সে ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কাছে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমানের ওষুধ নেই। তাই আপাদত বন্ধ। আপনি ওয়ার্ডে মেম্বর থেকে এ বিষয় আরো তথ্য জানতে পারবেন।

 


কাশিপুর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মেজবাউর রহমান পলাশ এবিষয়ে বলেন, আমরাও মশার উৎপাতে অতিষ্ট। আমার ওয়ার্ডে মশা নিধনের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ ১৫-২০ দিন আগে মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষধে জানানো হয়েছে। খুব তারাতারি আমরা এই কার্যক্রম চালু করব।

 


কাশিপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব জানায়, সচিব সাহেবের থেকে জানা মতে ওষুধ আনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে । আগামি সপ্তাহ থেকে আশা করা যায় আমরা মশা নিদনের কার্যক্রম চালু করতে পারবো ।

 


৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ জিসান হায়দার উজ্জলকে এই বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কন্টিনিউ আমর ওয়ার্ডে মশার ওষুধ দেওয়া হয়। ফগার ব্যবহার করে। আর আপনার তথ্য মতে আমার ওযার্ডে ওষুধের কোনো সংকট নেইএ বাকি ওয়ার্ড মেম্বার দের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ ফোন কল রিসিভ করেন নি।

 


একি বিষয় কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষোধের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদলের সাথেও মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
 

এই বিভাগের আরো খবর