বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১১ ১৪৩১

মানুষের ভালোবাসা ধর্মের বেড়াজালে আটকে থাকেনা:আতাউর রহমান খান আঙুর

এন. হুসেইন রনী

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৪  

স্বর্গীয় বীনা রাণী দাস এর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর

স্বর্গীয় বীনা রাণী দাস এর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর


শুক্রবার, (২৪ নভেম্বর, ২০২৪); মানুষের ভালোবাসা যে ধর্মের বেড়াজালে আটকে থাকে না, তার প্রমাণ আবারও দিলেন বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদে, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত  আতাউর রহমান খান আঙ্গুর।  নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সিংহদী বাজার সংলগ্ন (ভল্লবদী) রাইনাদিতে সকল রীতি মেনে; মাতা স্বর্গীয় বীনা রাণী দাস এর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করলেন, তার ছেলে বিমল চন্দ্র দাস। 

 

 

স্বর্গীয় বীনা রানী দাস এর ছেলে বিমল বলেন, “সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর সাবকে (সাহেবকে) আমি দাওয়াত দিয়েছিলাম, উনি দাওয়াত গ্রহণ করেন। কিন্তু আজ তিনি যে, সত্যিই চলে আসবেন আমরা ভাবতেই পারিনি। আমরা সকল আত্মীয়-স্বজন এবং সনাতন ধর্মের সকল অতিথিবৃন্দ অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। উনি ক্ষমতায় না থাকাকালীন সময়েও আমরা যে; যেই ধর্মের হই না কেন; তিনি সকলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটা আমি না আপনি আশে-পাশের চৌদ্দ গ্রামে খোঁজ নিলে আঙ্গুর সাবের (সাহেবের) ব্যাপারে সবাই এই-ডাই (একই কথা) বলবো।”

  

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর বলেন, “পৃথিবীতে মানুষের ভালোর জন্য যদি কোনো কাজ করার ইচ্ছা শক্তি বা আগ্রহ থাকে; তাহলে সেখানে ধর্ম কোনো বাধা হয় না। সনাতন ধর্মের সকল বয়সের এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের নিকট হতে যে ভালোবাসা আশীর্বাদ পেয়েছি, তা কোনোদিন শোধ করা যাবে না। তাই আমাদের সবাইকেই সকল ধর্ম-বর্ণ বা মতবাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।”

 

জাতি ধর্ম বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ বিনোদনের পাশাপাশি এদেশে ধর্মচর্চার সুযোগ পায়। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ একসাথে হয়। একে অপরের সাথে ভাব-বিনিময় করে, খোঁজ-খবর নেয়। গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় অনুষ্ঠিত এসব উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার মানুষের মাঝে সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধন সুদৃঢ় হয়। 

 

 

সনাতন ধর্মের উপস্থিত সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে ঘরোয়া পরিবেশে মতবিনিময়কালে সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের এই সংযোগ বেঁচে থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তিনি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের উক্তি উল্লেখ করে বলেন - প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী; একাকী কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ। সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ। আমরা মনুষ্যত্বের এই শক্তি লইয়াই আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

 

 

পরিশেষে তিনি বলেন, “এই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূণ এই দেশে আমার এলাকায় সকল মত ও পথের মানুষের প্রতি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি; ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান; যদি আমাকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেন, তাহলে এই আড়াইহাজার থানার বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে একটি সুন্দর ও আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।  এন. হুসেইন রনী / জেসি

এই বিভাগের আরো খবর